‘রমজান শেষের দিকে। ঈদ ঘরের দরজায়। গত বছর এই সময়ে অনেক নতুন অর্ডার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তারা। অথচ এ বছর গতকাল বৃহস্পতিবার ২১ রমজান দিনের অর্ধেক সময় বসে কাটাতে হয়েছে তাদের।’ ভালো নেই সিলেটের সেলাই কারিগররা। সেলাই কারিগরদের বসে থাকা আর অর্ডারের অভাবে হতাশা বিরাজ করেছে টেইলার্স মালিকদের মধ্যেও। সারা বছর ব্যবসা যেমন-তেমন চললেও দুই ঈদে বছরের লাভ-লোকসানের হিসাব মেলান টেইলার্স মালিকরা। তবে এ বছর ব্যবসায় মন্দার কারণে কারিগরদের বেতন আর বোনাস জোগানোর দুশ্চিন্তা ভর করেছে তাদের মাথায়।
সিলেট নগরীর কয়েকটি স্বনামধন্য টেইলার্সের ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, বছরের সাধারণ দিনগুলোর চেয়েও এবার খারাপ অবস্থা। মেয়েদের টেইলার্সগুলোয় ব্যস্ততা মোটামুটি থাকলেও ছেলেদের টেইলার্সের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।
সরেজমিন সিলেট নগরীর নয়াসড়ক, জিন্দাবাজার, জল্লারপাড়ায় বেশ কয়েকটি টেইলার্স ঘুরে দেখা যায় একই চিত্র। লেডিস টেইলার্সের কারিগররা কাজে মোটামুটি ব্যস্ত থাকলেও ছেলেদের টেইলার্সগুলো অনেকটা ফাঁকা। কাপড় কেনা কিংবা অর্ডার দিতে আসাদের ভিড় নেই বললেই চলে।
শুকরিয়া মার্কেটের টেইলার্সের মালিক আবদুল আহাদ জানান, সিলেটে অনেকগুলো টেইলার্স হয়েছে। পাড়ামহল্লায় টেইলার্স গড়ে ওঠায় নারীরা সেখানেই পোশাক বানাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। পাশাপাশি রেডিমেড কাপড়ের প্রতি আগ্রহ, অনলাইন শপিংয়ের কারণেও টেইলার্সগুলোতে ব্যস্ততা এখন কম।
নয়াসড়ক এলাকার লেডিস টেইলার্সের পরিচালক জেসমিন আক্তার জানান, বেশিরভাগ নারী কাপড় না কিনে থ্রিপিস কিনে পোশাক বানাতে দিয়েছেন। এবার ইন্ডিয়ান আনস্টিচ থ্রিপিসের চাহিদা বেশি।
কয়েকজন তরুণ আর মধ্যবয়সীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন কাপড় কেনা আর বানানোতে যে খরচ হয়, তার চেয়ে কম দামে নতুন আর আধুনিক ডিজাইনের রেডিমেড শার্ট-প্যান্ট কিনতে পাওয়া যায়। তাই নতুন কাপড় বানানোতে তাদের আগ্রহ কম।