• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ

বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা উত্তোলন ৮ দিন ধরে বন্ধ

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

বড়পুকুরিয়ায় কয়লা উত্তোলন বন্ধ

  • সোহেল সানী, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ জুন ২০১৮

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা উত্তোলন ৮ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ১৫ জুন থেকে উৎপাদনশীল ১২১০ নম্বর কোল ফেজের কয়লার মজুদ শেষ হয়ে গেলে কয়লা উত্তোলন পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে নতুন ১৩১৪ নম্বর ফেজ থেকে কয়লার উৎপাদন শুরুর প্রস্তুতি চলছে।

খনি সুত্র জানায়, বন্ধ হয়ে যাওয়া ১২১০ নম্বর ফেজে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে ১৩১৪ নম্বর ফেজে স্থাপন করে পুনরায় কয়লা উত্তোলন শুরু করতে দেড় মাস সময় লাগতে পারে। ১২১০ নম্বর কোল ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয় ২০১৭ সালে ১০ নভেম্বর মাসে। এ ফেজ থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার টন কয়লা। সেখানে উৎপাদন করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৫ হাজার টন কয়লা।

এব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দীন আহাম্মেদ বলেন, কয়লা উৎপাদন বন্ধ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একটি ফেজ থেকে উত্তোলন শেষে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সরিয়ে নতুন ফেজে স্থাপনের জন্য ৪০/৪৫ দিন সময় লাগে। এছাড়া এসময়ে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ক্রটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে মেরামতের জন্য বাড়তি সময়ের প্রয়োজন হয়। এজন্য কয়লার উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে। আজ ২৩ জুন পর্যন্তখনির কোল ইয়ার্ডে ১ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রয়েছে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মহাব্যবস্থাপক (মাইনিং) এটিএম নুরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সব প্রস্তুতি শেষ করে আগামী আগষ্ট মাসের শেষের দিকে নতুন ১৩১৪ নম্বর ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হবে। তিনি আরো জানান, ২০১৭ সালে ১০ নভেম্বর মাসে ১২১০ নম্বর কোল ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। এ ফেজ থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার টন কয়লা। সেখানে উৎপাদন করা হয়েছে ৫ লাখ ৮৫ হাজার টন কয়লা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads