• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
হাজীগঞ্জের প্রধান সড়ক পুরোটাই যেন হকার আর অটোরিকশা স্ট্যান্ড

হাজীগঞ্জের প্রধান সড়কটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, অটোবাইক ও ভ্রাম্যমান হকারদের দখলে

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

হাজীগঞ্জের প্রধান সড়ক পুরোটাই যেন হকার আর অটোরিকশা স্ট্যান্ড

  • মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ
  • প্রকাশিত ০৩ জুলাই ২০১৮

চাঁদপুর জেলার অন্যতম বানিজ্যিক শহর হাজীগঞ্জের প্রধান সড়কটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, অটোবাইক ও ভ্রাম্যমান হকারদের দখলে। যার ফলে সর্বক্ষণই গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটিতে যানজট লেগেই থাকছে। দখলদারদের কারণে পথচারীদের হেটে চলাও দুস্কর হয়ে পড়েছে ফলে বাড়ছে দুর্ঘটনা।

সোমবার সকাল ১১টায় হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজার থেকে পূর্ব পার্শ্বে বোয়ালজুড়ি ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে হকারদের বেচা-বিক্রি আর অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রী উঠানোর চিত্র দেখা যায়।

পশ্চিম বাজার পপুলার হাসপাতাল ও শেখ মার্কেট থেকে শুরু করে বিশ্বরোড। পূর্ব পাশে স্টার সুপার মার্কেট, হক প্লাজা, করিম প্লাজার সামনে সকাল থেকেই লেগে থাকে যানজট। এসব স্থান এখন অটো রিকশা চালকদেরকে দখলে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানাযায় , হাজীগঞ্জ বাজারের এ প্রধান সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটিই কুমিল্লার সঙ্গে সংযুক্ত প্রধাণ সড়ক। এ সড়কটি আঞ্চলিক গণপরিবহন ও মালবাহী গাড়ী যাতায়াত করে। যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য ট্রাফিক ব্যবস্থা থাকলেও সব স্থানে শৃঙ্খলা দেখা যায় না।

হক প্লাজার সামনের হকার আব্বাস উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন মৌসুমী ফলের ব্যবসা করেন তিনি। সর্বদা মৌসুমীফল নিয়ে প্রধান সড়কে বসেন তিনি। হকারদের জন্য ব্যবসার কোন নির্ধারিত স্থান না থাকায় শত শত ব্যবসায়ী এভাবে সড়কে ব্যবসা করছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

করিম প্লাজার সামনের সড়ক দখল করে গড়ে উঠা চা দোকানী রহমান মিয়াজী জানান, সিএনজি চালিত অটোরিকশার জন্য পৌর এলাকার কোন স্থানেই নির্ধারিত স্ট্যান্ড নেই। যার ফলে চালকরা তাদের সুবিধামত স্থানে অবস্থান নিয়ে যাত্রী উঠান।

এ বিষয়ে পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রিটন সাহা বলেন, বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমরা সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও অটোবাইক বিশ্ব রোডে অবস্থান করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের কথা অমান্য করেই পুরো শহর জুড়ে থাকে। আর হকাদের উচ্ছেদ করে চলেগেলে কিছুক্ষন পরে আবার এসে দোকান বসায়। এদেরকে সরানো খুবই দুস্কর হয়ে পড়েছে।

হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ হোসেন বলেন, হকার ও সিএনজি চালকদের মেইন সড়ক থেকে উঠিয়ে দিলে আবার পুনরায় এসে বসে। তারপরেও বাজারের যানজট নিয়ন্ত্রণে আমাদের ৬জন ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করেন। তবে শহরের লোকজন সচেতন হলে এটি বন্ধ করা সম্ভব। কারণ পৌর এলাকার লোকজন তার বাড়ীর সামনে থেকেই অটোতে উঠতে চান।

পৌরসভার মেয়র আ.স.ম. মাহবুব-উল আলম লিপন বলেন, হকারদের জন্য বাজারে নির্ধারিত হকার্স মার্কেট রয়েছে। কিন্তু তারা নিজেদের দোকান ভাড়া দিয়ে সড়কে এসে বসে। ভ্রাম্যমান আদালত এর মাধ্যমে বহুবার তাদেরকে জমিরানা করা হলেও তাদের মধ্যে পরিবর্তন আসে না। আর সিএনজি চালকদের বাজারের মূল সড়কে প্রবেশ করাই নিষিদ্ধ। পৌরবাসী সচেতন না হলে এ ধরনের সমস্যা সমাধান করা অসম্ভব বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads