• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বাতিলের আহ্বান

লোগো চিটাগাং চেম্বার

সংরক্ষিত ছবি

সারা দেশ

সেতু মন্ত্রীর কাছে চিটাগাং চেম্বারের চিঠি

চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বাতিলের আহ্বান

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১৪ জুলাই ২০১৮

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্য পরিবহনে এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রণ স্থায়ীভাবে বাতিল করার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চিটাগাং চেম্বার।

শনিবার মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে পাঠানো চিঠিতে চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম এ আহ্বান জানান।

চেম্বার সভাপতি চিঠিতে বলেন, রমজান পরবর্তীতে আবারও দুই এক্সেল বিশিষ্ট মোটরযানের মাধ্যমে মাত্র ১৩ টন ওজন নির্দিষ্ট করে দেয়ার ফলে শিল্পের কাঁচামাল, ভোগ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের অন্য কোন মহাসড়কে ওজন নিয়ন্ত্রণ না থাকার কারণে চট্টগ্রাম অঞ্চলের ব্যবসায়ীবৃন্দ অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রায় ৮২% চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। তাছাড়া বাণিজ্যনগরী চট্টগ্রাম থেকে আমদানিকৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য ও বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল সারাদেশে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকার সারাদেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে উল্লেখিত ওজন নিয়ন্ত্রণের কারণে পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষ এসব পদক্ষেপের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমাণ মসল্লা জাতীয় দ্রব্য যেমন-পেঁয়াজ, রসুন, আদা, জিরা, লং, এলাচ, দারুচিনি, ধনিয়া ইত্যাদি ব্যাপক হারে আমদানি করে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজার থেকে সারা দেশে সরবরাহ করা হবে। এ প্রেক্ষাপটে, বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশে পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত ব্যয় লাঘব করে পণ্যের মূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম-ঢাকা মহাসড়কে দুই এক্সেলবিশিষ্ট মোটরযানে ১৩ টন ওজন পরিবহনের বাধ্যবাধকতা স্থায়ীভাবে বাতিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ একান্ত প্রয়োজন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads