• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাকে জিম্মি করে সই নেওয়ার অভিযোগ

চাঁদপুরে হাজীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধো কমান্ডের সাবেক কমান্ডার মো. মজিবুর রহমান

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাকে জিম্মি করে সই নেওয়ার অভিযোগ

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ৩০ জুলাই ২০১৮

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মাঈনুদ্দিনের বিরুদ্ধে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডারকে জিম্মি করে জোরপূর্বক সই নেওয়ার নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।  

সোমবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কামান্ড কাউন্সিল কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধ কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার, ও ১৯৭১ সালের যুদ্ধকালীন কমান্ডার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার।

তিনি তার ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে সোমবার সকালে হাজীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।  তবে গাজী মাঈনুদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।  তিনি বলেন, তার সঙ্গে সৌহ্যর্দপূর্ণ আচরণ করে সই নেওয়া হয়েছে।  এ সময় মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম, সুলতান, শুকুর আলম ও সোহাগ কাশারী উপস্থিত ছিলেন। তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। 

সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া তথ্য ও  থানার অভিযোগপত্রে লিখিত বক্তব্যে মজিবুর রহমান মজুমদার বলেন,  উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী মাঈনুদ্দিনের বাবা গাজী গিয়াস উদ্দিন রাজাকার ছিলেন বলে কে বা কারা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচারণা চালায়। ওই বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য গাজী মাঈনুদ্দিন রোববার রাত ৮টার সময় আমার মোবাইল ফোন দিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ গাউছিয়া হোটেলে যেতে বলেন।  আমি তখন হাজীগঞ্জ ষ্টেশন রোডের দক্ষিন মাথায় মেন্দু মিয়ার চায়ের দোকানে বসা ছিলাম।  

তিনি বলেন, গাজী মাঈনুদ্দিনের ফোন পেয়ে সরল বিশ্বাসে আমি সেখানে যাই। সেখানে গাজী মাইনুদ্দীন ও তার দলের ২০/২৫জন নেতাকর্মী একটি লিখিত কাগজে সই দিতে বলেন।  আমি রাজি না হওয়ায় আমার মোবাইল ফোন তারা কেড়ে নেয়। পরে তিন ঘণ্টা আমাকে জোর করে আটক রেখে সই নেয়।  তিনঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে তারা মোবাইল ফোন দিয়ে আমাকে রেখে চলে যায়। আমি রাতেই বিষয়টি হাজীগঞ্জ থানায় যেয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জাবেদুল ইসলামকে জানাই।  

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হারুন-অর-রশিদ মুন্সি, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার খোরশেদ আলম, ব্যাংকার ও সাহিত্যিক মাহবুবুল আলম চুন্নু, দ্বীন মোহাম্মদ, মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহম্মদ, আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

তবে গাজী মাঈনুদ্দিন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওনাকে দিয়ে জোরপূর্বক কিছু করা হয়নি। তাঁকে হোটেলে এনে হাতে পায়ে ধরে অনুনয় বিনয় করে ওনার কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, যে কাগজে তিনি স্বাক্ষর করেছেন, ওই কাগজটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ৩ বার কারেক্সান করেছেন।

থানায় জিডি  প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গাজী মাঈনুদ্দিন বলেন,  বিষয়টি আমি জেনেছি। শিগগির আমি সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি পরিষ্কার করে জানাব।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাবেদুল ইসলাম থানায় জিডির সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশের খবরকে বলেন, জিডিটি তদন্তের জন্য পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল মান্নানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আমি যতটুকু খোঁজ নিয়েছি কমান্ডারের সাথে অসৌজন্যমূলক কোন আচরণ করা হয়নি।

এ বিষয়ে জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আবদুল মান্নান বলেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মজিবুর রহমানের একটি জিডি আমাকে তদন্তের জন্য দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads