• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়লেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে : রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম

হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে মেজর অব. রফিকুল ইসলঅম বীরউত্তমের নেতৃত্বে শোক র‌্যালি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়লেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে : রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ আগস্ট ২০১৮

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ আগস্ট বিকেলে স্থানীয় পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে হাজীগঞ্জ বাজারে উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে শোক দিবস উপলক্ষে বিশাল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়।

র‌্যালি শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টক কমান্ডার, চাঁদপুর- (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম। তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বাস্তবায়ন করতে হলে সুখি সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়তে হবে। সুখি সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়াতে পারলেই তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে’।

তিনি বলেন, ‘সেদিন দেশী-বিদেশী ঘাতকরা ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে জাতির জনককে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে, সে হত্যার বিচার করেছে। দণ্ডপ্রাপ্ত অনেক আসামী এখনো পলাতক আছে। তাদেরকেও দেশে ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।’

তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে নিয়ে ষড়যন্ত্র থেমে নেই, এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বাংলাদেশের মধ্যে ঘাপটি মেরে পড়ে থাকা ৭১ এর যুদ্ধাপরাধী ও ৭৫ এর খুনীরা এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্র রুখতে হলে আওয়ামী লীগ নেতাদের ঐক্যদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। সে লক্ষে প্রধানমন্ত্রী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যদি বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয়। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলী আশ্রাফ দুলালের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুক মুরাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শোকসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক গাজী মো. মাইনুদ্দীন, পৌর মেয়র আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন, জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবিব অরুন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সৈয়দ আহম্মদ খসরু, বাকিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান ইউছুফ মজুমদার, হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুর রহমান ভূইয়া প্রমূখ। আলোচনা সভা শেষে মিলাদ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি আবদুর রউফ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সমির লাল দত্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুক মুরাদ, মানিক হোসেন প্রধানীয়া, আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম মীর, আলহাজ্ব কবির হোসেন মিয়াজী, মনির হোসেন গাজী, রফিকুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু, মো. জাকির হোসেন লিটু ও খোরশেদ আলম বকাউল, হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আসফাকুল আলম চৌধুরী, শাহরাস্তি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আহসান মঞ্জুরুল জুয়েল, হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, আলী নুর নিপু, পৌর যুবলীগের আহবায়ক হায়দার পারভেজ সুজন, যুগ্ম আহবায়ক তাজুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা নাহিদুল ইসলাম সোহেল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউছুফ গাজী মোহন, সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফ হোসেন আলম, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী, ছাত্রলীগ নেতা মিরাজুল ইসলাম সরোয়ার, হান্নান গাজীসহ হাজীগঞ্জ প্রেসক্লাবের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকবৃন্দ, উপজেলা, পৌর ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সদস্যগন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সর্বস্তরের জনসাধারন।

র‌্যালিটি পৌরসভা থেকে বের হয়ে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পূণরায় পৌরসভা কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। র‌্যালি শেষে পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল-আলম লিপনের সভাপতিত্বে পৌরসভা কার্যালয়ের সম্মূখে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে পৌর মেয়র বলেন, দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে একদল বিপথগামী সেনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেন। এরপর জিয়াউর রহমান সরকার ক্ষমতায় এসে খুনিদের পূর্ণবাসন করে এবং একটি অধ্যাদেশ জারী করে বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয়। যেই দোকানে দেনা, সেই দোকানে বেচাকেনা। তার মানে একইভাবে জিয়াউর রহমান নিজেও হত্যার স্বীকার হন।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর সু-যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পথ দেশের মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করেন, কিন্তু কয়েকজন হত্যাকারী বিদেশে পলাতক রয়েছে। যাদের রায় এখনো কার্যক্রর করা সম্ভব হয়নি। যার মধ্যে হাজীগঞ্জের রাশেদ চৌধুরী রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ঘাতক এই রাশেদ চৌধুরীর রায় কার্যকর হলে হাজীগঞ্জ কলঙ্কমুক্ত হবে।

প্যানেল মেয়র রায়হানুর রহমান জনির পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. জাবেদুল ইসলাম, হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আসফাকুল আলম চৌধুরী, পৌর পরিষদের পক্ষে প্যানেল মেয়র-২ মো. শুকু মিয়া, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে সচিব মুহাম্মদ নুর আজম বিন আখতার, পৌর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাছান রাব্বী, পৌর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের পক্ষে ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি হাফেজ মোস্তফা কামাল প্রমূখ।
এ সময় হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শহর যুবলীগের আহবায়ক হায়দার পারভেজ সুজন, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু নাছের আদনান ও আলহাজ্ব কাজী কবির হোসেন, জেলা যুবলীগের সদস্য সোহাগ আহমেদ মাইনু, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্যাহ্ মৃধা ও শামছুজ্জামান মুন্সীসহ পৌরসভার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও সহকারি শিক্ষক, পৌর কাউন্সিলর, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads