• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
থমথমে খাগড়াছড়ি যৌথবাহিনীর অভিযান

থমথমে খাগড়াছড়িতে অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী

সংরক্ষিত ছবি

সারা দেশ

থমথমে খাগড়াছড়ি যৌথবাহিনীর অভিযান

  • খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ আগস্ট ২০১৮

জেলা সদরের স্বনির্ভর এলাকায় ব্রাশফায়ারে সাতজন নিহত ও সাতজন আহতের ঘটনায় গতকাল রোববার দুপুর থেকে ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকায় অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের সমন্বিত দলের ওই অভিযান এবং হামলার পর আতঙ্ককে কেন্দ্র করে স্বনির্ভর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এদিকে অস্ত্রধারীদের গুলিতে হতাহতের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের গঠিত ৫ সদস্যের কমিটি।

সরেজমিন দেখা যায়, এ দিন স্বনির্ভর বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। আতঙ্ক বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে। তবে বন্ধ থাকা খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কে সকাল থেকে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জেলা সদর সার্কেলের এএসপি আফতাব আহমেদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্ত রয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে জেলা সদরে।’ এদিকে গত শনিবারের হামলার ঘটনায় নিহত সাতজনকে বৌদ্ধ ধর্মীয় রীতিনীতি অনুযায়ী দাহ করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে চারজন ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের নেতাকর্মী। বাকি তিনজনের মধ্যে একজন সরকারি কর্মচারী, একজন একটি বেসরকারি কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার ও অপরজন সাধারণ গ্রামবাসী।

নিহতদের মধ্যে চারজনের মরদেহ শনিবার রাতেই তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি সংগঠনগুলোর তিন নেতার মরদেহ দেওয়া হয় রোববার দুপুর ২টার দিকে। তারা হলেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তপন চাকমা, একই সংগঠনের জেলা সহসাধারণ সম্পাদক এলটন চাকমা, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের জেলা সহসভাপতি পলাশ চাকমা। শনিবার দুপুরে আলাদা ঘটনায় নিহত ছন কুমার চাকমার লাশও পরিবারের সদস্যরা বুঝে নিয়েছেন।

হামলায় হতাহতের ঘটনায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি রোববার থেকেই তাদের কাজ শুরু করেছে। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের কথা বলা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবু ইউসুফকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শহরের মানুষ যাতে আতঙ্কিত না হয় এজন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’ তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ আবু ইউছুফ বলেন, ‘আমরা তদন্তের কাজ শুরু করে দিয়েছি। এলাকাবাসী ও নিহতের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে কথা বলছি। ঘটনার নেপথ্যে কী রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

এ দিকে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আজ সোমবার খাগড়াছড়ি জেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধ পালনের ঘোষণা দিয়েছে ইউপিডিএফ সমর্থিত তিনটি পাহাড়ি সংগঠন। পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম, হিল উইমেন্স ফেডারেশন খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ঘোষিত ওই অবরোধকালে অ্যাম্বুলেন্স, রোগী বহনকারী অন্যান্য যান, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি বিদ্যুৎ-পানি, ওষুধ সরবরাহকারী ও সাংবাদিকদের গাড়ি অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads