• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
দেশীয় গরুর দাপটে চাঁদপুরে কোরবানির হাট

চাঁদপুরে এ বছর কোরবানির হাটগুলোতে প্রচুর উঠেছে দেশীয় গরু

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

দেশীয় গরুর দাপটে চাঁদপুরে কোরবানির হাট

  • মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ
  • প্রকাশিত ২০ আগস্ট ২০১৮

চাঁদপুরে এ বছর কোরবানির হাটগুলোতে বেশীর ভাগই দেশীয় গরু উঠেছে। ফরিদপুর থেকে ব্যবসায়ীদের আনা স্বল্প সংখ্যক ভারতীয় গরু আসলেও তা দেশীয় গরুর তুলনায় খুবই কম। তবে বাজার মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে। বিগত কয়েক বছর ফরিদপুর থেকে ব্যবসায়ীরা ভারতীয় গরু বেশী আমদানি করার কারণে তখন দেশীয় খামারি ও কৃষকরা অনেক ক্ষেত্রে দাম কম পেয়েছেন। এ বছর এ চিত্র পাল্টেছে।

রোববার (১৯ আগষ্ট) বিকেলে চাঁদপুর সদরের সর্ববৃহত্ত কোরবানির পশুর হাট বাগাদী চৌরাস্তায় গিয়ে দেখাগেছে দেশীয় খামারি ও গৃহস্থদের গরুর সংখ্যাই বেশী। আর ভারতীয় যেসব গরু ব্যবসায়ীরা এনেছেন তা তাদের গত কয়েক মাস পূর্বে ক্রয় করা। ঈদুল আযহা উপলক্ষে ভারতীয় গরু ক্রয় করতে পারেননি বলে ব্যবসায়ীরা জানান। আর জেলার অন্যান্য বাজারের মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা বাজার সদরের সফরমালি বাজারে গরু আমদানি হয়েছে প্রচুর পরিমানে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা থেকে গরু ক্রয় করতে আসা রিপন জানান, এ বাজারে প্রচুর দেশীয় গরু রয়েছে। তিনি এখানে ক্রয় করার ইচ্ছা থাকলেও মূল্য বেশী হওয়ার কারণে ফিরে যাচ্ছেন। কারণ তার বাজেটের সাথে গরুর মূল্য মিল হয়নি।

চাঁদপুর শহর থেকে আসা ক্রেতা মোশাররফ হোসেন জানান, তিনি এ বাজার থেকে তার বড় ভাইসহ দু’টি গরু ক্রয় করেছেন। মোটামোটি ভাল দামেই ক্রয় করতে পেরেছেন। এ বাজারে সব বাজেটের গরুই রয়েছে।

বাজার ঘুরে দেখাগেছে, বাগাদী চৌরাস্তা বাজারে অধিকাংশ গরু ব্যবসায়ী ফরিদপুর জেলা থেকে আসা। আর স্থানীয় কিছু খামারি ও গৃহস্থদের গরুর সংখ্যাই বেশী। তবে স্থানীয়দের গরু সাইজে একটু ছোট।

স্থানীয় ক্রেতা রহমান গাজি জানান, এ বাজারে সব মূল্যের গরু পাওয়া যায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকার কারণে চাঁদপুর শহর, ফরিদগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থেকে অনেক মানুষ দলে দলে এসে গরু ক্রয় করেন। আজকে পর্যন্ত কমপক্ষে আড়াই হাজার গরু বাজারে আছে।

ফরিদপুর থেকে আসা ব্যবসায়ী জুয়েল ও নাজির হোসেন জানান, তারা ভারতীয় গরুর পাশাপাশি দেশীয় গরুও এনেছেন এ বাজারে। ৮০ হাজার থেকে শুরু করে ২লাখ টাকা পর্যন্ত মূল্যের গরু তাদের কাছে আছে। ইতোমধ্যে তাদের কয়েকটি গরু বিক্রি হয়েছে। দাম ভাল পেয়েছেন বলে জানান তারা।

এছাড়াও রোববার নিয়মিত বাজার বসেছে একই ইউনিয়নের বাঘড়া বাজারে। সেখানেও সকাল থেকে হাটে দেশীয় গরু আসতে শুরু করে। অধিকাংশ গরু স্থানীয়দের হওয়ার কারণে আশাপাশের লোকজন এ বাজারের ক্রেতা। দাম সহনীয় রয়েছে বলে জানান কয়েকজন ক্রেতা।

বাগাদী চৌরাস্তার বাজারের ইজারাদার মো. রিপন খান জানান, বহু বছরের পুরনো এ কোরবানির হাট চাঁদপুরের মানুষের কাছে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। এখানে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আমাদেরকে সহযোগিতা করছেন। আর এ কারণে মানুষ পছন্দমত গরু ক্রয় করে বাড়ি ফিরতে পারছেন। আশা কারি ২১ আগষ্ট রাত পর্যন্ত মানুষ এ হাট থেকে গরু ক্রয় করতে পারবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads