ঈদুল আজহার তিন দিন পরও ফাঁকা চট্টগ্রাম নগরী। গতকাল শনিবারও জমে ওঠেনি নগরীর ব্যস্ত সড়ক ও হাটবাজার। ঈদের দিন থেকে একপ্রকার নীরব রয়েছে চট্টগ্রাম নগরী। যানজট লেগে থাকা সড়কগুলোতে গাড়ি চলেছে হাতেগোনা। তবে আজ রোববার থেকে স্বাভাবিক হতে শুরু করবে নগরীর অফিসপাড়া। ফলে নীরবতা ভাঙবে সড়ক ও হাটবাজারের।
সরেজমিন দেখা গেছে, নগরীর ব্যস্ততম মোড় জিইসি এলাকা গতকাল দুপুর ১২টায় ছিল ফাঁকা। দূরপাল্লার সব গাড়ি এ সড়ক দিয়ে নগরীতে প্রবেশ করায় এ এলাকাটিতে সব সময় থাকে গাড়ির চাপ। ঈদের ছুটির প্রভাব ছিল অফিসপাড়া খ্যাত আগ্রাবাদ এলাকায়ও। এ এলাকায়ও কোনো সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলেনি। বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, চকবাজার, কোতোয়ালি, নিউমার্কেট এলাকায় অলস বসে থাকতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের। গ্যাস পাম্পগুলোতে দিনের বেলা স্বাভাবিক সময়ের দীর্ঘ লাইন চোখে পড়েনি। তবে বিনোদন কেন্দ্র ফয়’স লেক এলাকায় জাকির হোসেন সড়কে গাড়ির চাপ ছিল কিছুটা বেশি। এ ছাড়া আগ্রাবাদ শিশুপার্ক, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা পার্কেও ছিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। চট্টগ্রাম পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত ও নেভাল এলাকায়ও ছিল হাজার হাজার মানুষের ভিড়।
এদিকে চকবাজার ও বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে এখনো দোকানপাট খোলেনি। বসেনি মাছ ও সবজির বাজারও। এ ছাড়া চট্টগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও চলছে ঈদের ছুটি। চট্টগ্রাম কলেজ, হাজী মুহম্মদ মহসীন কলেজ, সিটি কলেজ, ইসলামিয়া কলেজ, কমার্স কলেজসহ বেশিরভাগ কলেজেই চলছে লম্বা ঈদের ছুটি।
বায়েজিদ থানা পুলিশের প্যাট্রল ইন্সপেক্টর মহিউদ্দিন খান বলেন, ঈদের ছুটির কারণে নগরী এখনো ফাঁকা। ছুটির মধ্যে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক থাকায় এবার বড় ধরনের কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়নি। আজ রোববার থেকে নগরী স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
চট্টগ্রাম অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বোরহান উদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটির কারণে পরিবহন শ্রমিকরা এখনো যার যার গ্রামেই রয়েছে। রোববার থেকে তারা ফিরে আসতে শুরু করবে। সড়কে যাত্রী না থাকায় শ্রমিকরাও দেরি করে শহরে ফিরছে।
এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি হলের বেশিরভাগ কক্ষই ছিল শিক্ষার্থীশূন্য। শিক্ষার্থী না থাকায় হলের ডাইনিংও ছিল বন্ধ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যান্টিন, ঝুপড়িসহ অন্য দোকানপাটও রয়েছে বন্ধ। রোববার থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হবে। ৩১ আগস্ট থেকে শুরু হবে ক্লাস-পরীক্ষা। ওইদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেন ও ডেমু ট্রেন স্বাভাবিক নিয়মে চলাচল করবে।