• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
ইকবাল-দেবাশীষের প্যানেল জয়ী

বিএমএ নির্বাচনে জয়ী বায় ইকবাল বাহার ও ডানে দেবাশীষ সাহা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

নারায়ণগঞ্জে বিএমএ নির্বাচন

ইকবাল-দেবাশীষের প্যানেল জয়ী

  • নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ডাক্তারদের সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) নারায়ণগঞ্জ জেলার নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে দুটি প্যানেলের প্রার্থীদের মধ্যে মারামারির পর ঘোষিত ফলাফলে ২৩ সদস্যের পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়েছেন ইকবাল বাহার ও দেবাশীষ সাহার নেতৃত্বে প্যানেল। দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর পর এ ভোট নিয়ে ছিল ডাক্তারদের মধ্যে টান টান উত্তেজনা। গতকাল শুক্রবার ভোরে ওই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা হতে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শহরের চাষাঢ়া রাইফেল ক্লাব প্রাঙ্গনে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলে। তবে রাতে সাড়ে ১১টায় দুটি প্যানেলের লোকজনদের মধ্যে তুমুল মারামারি ঘটে যেখানে বহিরাগতরা এসেও সম্পৃক্ত হয়। তখন আতিকুজ্জামান সোহেল ও নিজাম আলীর নেতৃত্বের প্যানেলের লোকজন নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিয়ে ভোটকেন্দ্র প্রস্থান করে।

নির্বাচনে ৩৮৭ ভোটের মধ্যে ৩১৫টি ভোট কাস্ট হয়। এর মধ্যে সভাপতি পদে ইকবাল বাহার পেয়েছেন ১৮৫ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বি ডা. শাহনেওয়াজ পেয়েছেন ১২৬ ভোট। সেক্রেটারী পদে দেবাশীষ সাহা পেয়েছেন ২১১ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বি নিজাম আলী পেয়েছেন ১০৪ ভোট।

সহ সভাপতি পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। এখানে ইকবাল ও দেবাশীষ প্যানেলেল বিজয়ী গোলাম মোস্তফা পেয়েছেন ১৩৯ ভোট। বিধান চন্দ্র পোদ্দার পেয়েছেন ২০০ ভোট। পরাজিতদের মধ্যে আতিকুজ্জামান সোহেল পেয়েছেন ১৩০ ভোট ও হাফিজুর রহমান পেয়েছেন ১৩৭ ভোট।

ডা. ইকবাল বাহার ও সাধারণ সম্পাদক পদে ডা. দেবাশীষ রায়ের নেতৃত্বে ২৩ সদস্যের প্যানেলের জয়ী অন্যরা হলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দোহা সঞ্চয়, কোষাধ্যক্ষ শেখ ফরহাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন, বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক কুমার তানসেন, দফতর সম্পাদক ইউসুফ সরকার, প্রচার ও জনসংযোগ সম্পাদক কামরুল আশরাফ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক অমিত সরকার, সংস্কৃতি ও আপ্যয়ন বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান, গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক জহিরুল হক, সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, জিএম ফরিদ, অনিরুদ্ধ ভট্টাচার্য, এবিএম জহিরুল কাদের ভূইয়া, তানভীর আহমেদ চৌধুরী, আমির হোসেন, তনয় কুমার সাহা, মতিয়ার রহমান, আবু শাহেদ শুভ ও মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিন।

জানা গেছে, এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশ নেয়। মধ্যে ২৩জনের প্যানেলের বিপরীতে সভাপতি ছাড়া প্যানেল করে সহ সভাপতি আতিকুজ্জামান সোহেল ও সেক্রেটারী নিজাম আলীর নেতৃত্বে। সভাপতি হিসেবে স্বতন্ত্র থাকা ডা. শাহনেওয়াজ থাকলেও তিনিও অন্তরালে এ প্যানেলের অধিভুক্ত ছিলেন।

ডাক্তারদের তুমুল মারামারি
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ভোটগ্রহণে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলেও রাত ১১টায় গণনা চলাকালে হঠাৎ করেই একটি ব্যালটকে কেন্দ্র করে চিৎকার করে উঠেন একটি প্যানেলের সহ সভাপতির প্রার্থী আতিকুজ্জামান সোহেল। এক পর্যায়ে সে ভোট গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার সময়ে ভেতরে প্রবেশ করতে যাওয়া বিপরীত প্যানেলের দফতর সম্পাদক ইউসুফ আলী সরকারের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। পরে ইউসুফ আলীকে মারধর করে সোহেলের সঙ্গে থাকা লোকজন। এ হাতাহাতি পরে রূপ নেয় ইকবাল বাহার ও সোহেলের মধ্যে।

খবর পেয়ে উভয় পক্ষের লোকজন জড়ো হলে সেখানে তুমুল বাকবিতন্ডা ঘটে। চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়। এছাড়া ইকবাল বাহারের সঙ্গে থাকা নারায়ণগঞ্জের বাইরের জেলার একজন এএসপি কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়। তিনি ছিলেন সাদা পোশাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ওই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন শহরের দেওভোগ এলাকার সাগর সহ আরো কয়েকজন যারা মূলত মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাতের অনুগামী হিসেবে পরিচিত।

নির্বাচিত সভাপতি ইকবাল বাহার জানান, নির্বাচনে আমাদের জয়ের বিষয়টি টেরে পেয়েই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হৈ চৈ শুরু করে। এক পর্যায়ে আমাকে ও আমাদের লোকজনদের মারধর শুরু করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে।

অপরদিকে আতিকুজ্জামান সোহেল জানান, তাদের জয় যখন নিশ্চিত তখন জোর করে পরাজিত করতেই পরিকল্পনামাফিক আমাদের উপর হামলা করা হয়। আমরা তখন বয়কট করে কোনমতে জীবন নিয়ে বের হয়ে আসি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads