• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
৭১’র পরাজিত শক্তি এখনো ষড়যন্ত্র করছে: মখা আলমগীর

চাঁদপুরের কচুয়ায় রঘুনাথপুর গণহত্যা দিবসের অলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কচুয়ায় গণহত্যা দিবস পালিত

৭১’র পরাজিত শক্তি এখনো ষড়যন্ত্র করছে: মখা আলমগীর

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার রঘুনাথপুর বাজারে গণহত্যা দিবস পালিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় রঘুনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সংসদের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

রঘুনাথপুর বাজার মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সংসদের সভাপতি সরদার আবুল বাসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণহত্যা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ম-লীল সদস্য, চাঁদপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা যেন ক্ষমতায় না আসতে পারে সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। কারণ যারা এ দেশকে বিশ্বাস করে না, তারা ক্ষমতায় এলে কখনও দেশের উন্নয়নে কাজ করবে না।

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। তাই এসব উন্নয়নের কথা গ্রামের মানুষের কাছে বলতে হবে।

প্রধান অতিথি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বাড়ির ব্যবস্থা করেছেন। তাদের ভাতা বৃদ্ধি করেছেন। দেশের প্রত্যেক উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ৭১’র পরাজিত শক্তি এখনো দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। দেশ গঠনে নিজেদের আত্ম নিয়োগ করতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আইয়ুব আলী পাটওয়ারী, সাধারন সম্পাদক সোহরাব সোহেন চৌধুরী সোহাগ, হাজীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলর সাবেক কমান্ডার মো. মজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধা মো. আব্দুল মবিন, মো. জাবের মিয়া ও পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক আক্তার হোসেন সোহেল ভূঁইয়া প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ও কচুয়া সীমান্তবর্তী রঘুনাথপুর বাজারে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগি রাজাকার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা আ. মতিনকে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে হত্যা করে তার মৃতদেহ মাটিতে চেচিয়ে নিয়ে যায় একই সময় অর্ধশতাধিত নীরিহ বাঙ্গালীকে নির্মমভাবে গুলি ও জবাই করে হত্যা করে বাজারে আগুন লাগিয়ে লুটপাট করে নিয়ে যায়। ১৯৯৬ সাল থেকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা ৮ সেপ্টেম্বর রঘুনাথপুর গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads