• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
মাগুরার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ৭ গ্রাম

নদী ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলেও ভঙনের দ্বারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন অনেক পরিবার

বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

মধুমতীর ভয়াবহ ভাঙন

মাগুরার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ৭ গ্রাম

  • আবদুল ওয়াহাব, মহম্মদপুর (মাগুরা)
  • প্রকাশিত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে মধুমতী নদীর পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে গেছে। ইতোমধ্যে মহম্মদপুর উপজেলার ৭টি গ্রামের ৮-৯ কি.মি. এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া বিলীন হয়েছে ২১টি পরিবারের অর্ধশতাধিক ঘরবাড়িসহ আবাদি জমি, গাছপালা, মসজিদ ও গোরস্তান। হুমকিতে রয়েছে শতাধিক পরিবার, কাশিপুর গোরস্তান, কাশিপুর ও ভোলানাথপুরের পূজা মন্দির, অসংখ্য দোকানপাটসহ হাজার একর ফসলি জমি। অন্যদিকে গোপালনগর থেকে পাল্লা পর্যন্ত প্রায় ৫ কি.মি. ও ঝামা এলাকায় জেগে উঠেছে বিশাল চর। ফলে স্রোত বাধাগ্রস্ত হয়ে প্রবল বেগে তীরে ঢেউ আছড়ে পড়ায় ভাঙন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো ক্রমেই ভাঙনের থাবায় নিশ্চিহ্ন হচ্ছে।

ভাঙনের তীব্রতা এতই ভয়াবহ যে অনেকে ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার সময়ও পাননি। অনেকে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে বসবাস করছেন খোলা আকাশের নিচে। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত ভাঙনে বদলে যাচ্ছে মহম্মদপুরের মানচিত্র। হারিয়ে গেছে কাশীপুর, রায়পুর, রুইজানি, হরেককৃষ্ণপুর, দেউলি, ঝামা ও ভোলানাথপুর গ্রাম। হরেকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা ওহিদ বলেন, বসতভিটাসহ সম্পূর্ণ জমি বিলীন হয়ে গেছে। এখন ভূমিহীন অবস্থায় অন্যের জমিতে বসবাস করছি। গোপালনগর গ্রামের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা তোজাম, মফিজ ও কাশিপুর গ্রামের দলিল লেখক বাচ্চু মিয়া বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে বারবার অবহিত করা হলেও এ পর্যন্ত কেউ খোঁজ নিতে আসেননি। এ ব্যাপারে ইউএনও সাদিকুর রহমান বলেন, এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads