• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
নানা সমস্যায় জর্জরিত আমতলীর ২৯ কমিউনিটি ক্লিনিক

কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন এক স্বাস্থ্যকর্মী

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

নানা সমস্যায় জর্জরিত আমতলীর ২৯ কমিউনিটি ক্লিনিক

  • বরগুনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বরগুনার আমতলীতে ব্যবহারের অনুপযোগী ভবনে কাজ চলছে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর। উপজেলার মোট ২৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক ভবনের সবকয়টিতেই বৃষ্টিতে ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। নেই বিদ্যুৎ, নেই পানি। টয়লেটগুলোর অবস্থা তো রীতিমতো ভয়াবহ। টিউবঅয়েলগুলো অকেজো থাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে। এমন অসুবিধার মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বদিচ্ছা থাকলে পরিপূর্ন সেবা দিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২৯টি ক্লিনিকেরই ভবন ব্যবহারের অনুপযোগী হলেও বেশি ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে চাওড়া ইউনিয়নের চালিতবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক, হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া হাট কমিউনিটি ক্লিনিক, কাঠালিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক, ছোনাউঠা কমিউনিটি ক্লিনিক, চাওড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ঘটখালী কমিউনিটি ক্লিনিক, চন্দ্রা কমিউনিটি ক্লিনিক, আমতলী সদর ইউনিয়নের ভায়লাবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক, মানিকঝুড়ি কমিউনিটি ক্লিনিক, হলদিয়া ইউপির টেপুরা কমিউনিটি ক্লিনিক, গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়া কমিউনিটি ক্লিনিক, কুকুয়া ইউপির কুকুয়া হাট কমিউনিটি ক্লিনিক।

হলদিয়া ইউনিয়নের কাঠালিয়া কমিনিউটি ক্লিনিকের কমিনিউটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার আফিফা আক্তার জানান, বৃষ্টি নামলে ভবনের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। দরজা জানালা ভেঙ্গে গেছে। রোগীরা ভিতরে আসতে চায়না। মাথার উপর পলেস্তার খসে পড়ার ভয়ে। চালিতাবুনিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা প্রসূতি রোগী ময়না বেগম জানান, ভাঙা বিল্ডিংয়ে আসতে তাদের ভয় করে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী জানিয়েছেন, প্রান্তিক মানুষের সেবার জন্য প্রতিষ্ঠিত কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। সমাধানের জন্যউধর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি । বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. হুমায়ুন হাসান শাহিন খান বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর তালিকা করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে পাঠানো হয়েছে।’

১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতি ওয়ার্ডে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে। ২০০১ সালে বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় এসে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ৭ বছর কোনো কার্যক্রম পরিচালিত না হওয়ায় ভবনগুলো ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষতায় এসে ফের কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads