• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
হাজীগঞ্জে চার শিক্ষার্থী নিখোঁজ

চাঁদপুরে নিখোঁজ চার শিক্ষার্থী

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

হাজীগঞ্জে চার শিক্ষার্থী নিখোঁজ

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পাঁচদিনে চার শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছে। দুইটি হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে তিনজন এবং এক স্কুল শিক্ষার্থী নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। মাদ্রাসায় পড়ালেখার অতিরিক্ত চাপ ও ধরাবাঁধা নিয়মের কারণে এসব শিক্ষার্থী পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিখোঁজ চার শিক্ষার্থী হলো জাহিদ সরকার (১১) ও রবিউল আউয়াল (১৭) কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মাদ্রাসাতুল সুন্নাহ মাদ্রাসা, আবু সায়েদ (১৩) ভাটরা দারুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা এবং জহির হোসেন পাটওয়ারী (১২) হাজীগঞ্জ মৈত্রী উদ্যান হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

এর মধ্যে জাহিদ সরকার ও রবিউল আউয়াল গত ৫ সেপ্টেম্বর ভোরে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যায়। আবু সায়েদ ৯ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয়।

এদিকে জহিরুল ইসলাম ১৯ সেপ্টেম্বর হাজীগঞ্জ বাজারের ভাড়া বাসা থেকে স্কুলে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে বাসায় ফিরে যায়নি।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানায় দুই ছাত্র নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় রঘুনাথপুর মাদ্রাসাতুল সুন্নাহর পরিচালনা কমিটির সদস্য ফজলুল হক, আবু সাঈদের মা রোকেয়া বেগম এবং জহিরুল ইসলামের মা ডলি বেগম থানায় পৃথক তিনটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে জাহিদ সরকার মতলব দক্ষিণ উপজেলার হরিদাসপাড়া গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে, রবিউল আউয়াল একই উপজেলার পাতানিশ নোয়াপাড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে, আবু সাঈদ মাড়ামুড়া গ্রামের মৃত আবু তাহের মজুমদারের ছেলে এবং জহিরুল ইসলাম মতলব দক্ষিণ উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মো. ফারুক হোসেনের ছেলে।

মাদ্রাসাতুল সুন্নাহর দুই ছাত্র নিখোঁজের ঘটনাটি তদন্ত করেন হাজীগঞ্জ থানার এসআই একেএম মাহমুদুল হাসান কবির। ভাটরা দারুল উলুম হাফেজিয়া মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজের ঘটনাটি তদন্ত করেন এস.আই শামছুজ্জামান এবং হাজীগঞ্জ মৈত্রী শিশু উদ্যান হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র নিখোঁজের ঘটনায় তদন্ত করছেন এস.আই জসিম উদ্দিন।

নিখোঁজ ছাত্র রবিউলের বাবা বিল্লাল হোসেন বলেন, এর আগেও তার ছেলে দুই থেকে তিনবার পালিয়ে গেছে। পরে আবার ফিরে এসেছে। আমরা এখনো আশায় আছি, যেখানেই যাক সহসায় সে ফিরে আসবে।

আবু সাঈদদের মা রোকেয়া বেগম বলেন, ৬ সেপ্টেম্বর আবু সাঈদ মামার বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখান থেকে ৯ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসায় যাওয়ার কথা বলে সায়েদ বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সে মাদ্রাসায় যায়নি। আবু সাঈদের খোঁজ পাওয়ার জন্য রোকেয়া বেগম সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।

জহিরের মা ডলি বেগম বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর স্কুলে যাওয়ার কথা বলেন বাসা থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফিরেনি। বৃহষ্পতিবার বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার কথা ছিল। আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে খোঁজ খবর নিয়েছি কোথায়ও তার সন্ধান পাইনি।

হাজীগঞ্জ থানার ওসি আলমগীর হোসেন রনি জানান, নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন থানায় নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads