• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
সাটুরিয়ায় গাজীখালী নদী পুনঃখনন জরুরী

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার গাজীখালী নদী

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

সাটুরিয়ায় গাজীখালী নদী পুনঃখনন জরুরী

  • আসাদুজ্জামান, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এককালের খরস্রোতা গাজীখালী নদী বর্তমানে মৃত প্রায়। উপজেলার গোপালপুর এলাকায় ধলেশ্বরী নদী হতে শাখা নদী হয়ে গাজীখালী নদী দরগ্রাম,সাটুরিয়া, গাঙ্গুটিয়া, সুয়াপুর, রোয়াইল, ইউনিয়ন পাড় হয়ে ঢাকা জেলার সাভারের বংশী নদীতে পতিত হয়েছে।

এই নদীকে কেন্দ্র করে এককালে দরগ্রাম ও সাটুরিয়া নদীবন্দর আশেপাশের কয়েকটি জেলার সার্বিক ব্যবসা বানিজ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতো। বর্তমানে এর উৎসমূখে ধলেশ্বরী নদীর উজান হতে ঢলে আসা অতিরিক্ত পলি জমে সম্পূর্ণরুপে পানি চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম, নদী শুকিয়ে মরুভূমি হওয়ার পথে। প্রায় সারা বছর নদীতে পানি শুন্য থাকার সুযোগে প্রায় ২০কিলোমিটার নদী জুড়েই স্থানীয় প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন অজুহাতে দখল করে নিয়েছে। দখলকৃত জায়গায় কেউ বাড়ীঘড় নির্মান করে আছে, কোথাও আবার দোকানপাট,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে, কেউ নিয়মিত চাষাবাদ করে নদীর অবশিষ্ঠ চিহ্নটুকু মুছে ফেলেছে, বোঝারই কায়দা নেই যে এখানে এককালে খরস্রোতা নদী ছিল। কয়েকটি জায়গায় ড্রেজার ব্যবসায়ীরা দখলদারদের থেকে মাটি কিনে কেটে কেটে বিক্রী করার ফলে সৃষ্ট কতগুলো গর্ত ছাড়া নদী তীরবর্তী স্থানীয় মানুষদের গোসল, পশুপাখির গোসল, সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজেও নদীর পানি ব্যবহার করতে পারছেনা। গোপালপুর গ্রামের আব্দুর রহমান ও হরগজ গ্রামের আব্দুল খালেক আক্ষেপ করে বলেন, এককালে এই নদী সাতরিয়ে পাড়হওয়া দুষ্কর ছিল, সারাবছর পানি ব্যবহার করতে পারতাম, বর্তমানে গরুর ঘাস ধোয়ার পানিও পাইনা।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ পানিউন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা যায়,২০১২ সালে গাজীখালী নদীর উৎসমূখে এক কিলোমিটার এলাকা খনন করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ শিডিউল অনুযায়ী তৎসময়ে কাজ হয়নি বিধায় তখনকার খননে মূলত কাজ হয়নি। নদী তীরবর্তী হাজার হাজার ভুক্তভোগী মানুষের প্রাণের দাবী সরকার জরুরী ভিত্তিতে গাজীখালী নদী উৎসমূখ সহ প্রয়োজনীয় এলাকায় পুনঃখনন করার মাধ্যমে নাব্যতা ঠিক রাখবে।

এ ব্যপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড মানিকগঞ্জ অফিসের কর্মকর্তা জানান,গাজীখালী নদীতে পুঃখনন প্রক্রিয়া চালু করার জন্য উর্ধ¦তন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads