• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
এ মাসেই চালু হবে ঝুমঝুমপুর কম্পোস্ট প্ল্যান্ট

যশোরের ঝুমঝুমপুরে উদ্বোধনের অপেক্ষায় ময়লা প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রে

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

এ মাসেই চালু হবে ঝুমঝুমপুর কম্পোস্ট প্ল্যান্ট

  • শহিদ জয়, যশোর
  • প্রকাশিত ০৯ অক্টোবর ২০১৮

যশোরের ঝুমঝুমপুরে ১৩ দশমিক ২৫ একর আয়তনের ময়লা প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের নির্মাণ প্রায় শেষ। এ মাসের শেষদিকে উদ্বোধন হবে যশোর পৌরসভা নির্মিত এ কম্পোস্ট প্ল্যান্ট। এ প্ল্যান্টে আগামী জানুয়ারি থেকেই জৈবসার উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।

পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, ঝুমঝুমপুরে পৌরসভার নিজস্ব জায়গায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে পরিবেশবান্ধব অবর্জনা প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করে উৎপাদন হবে জৈবসার, বায়োগ্যাস ও বিদ্যুৎ। বর্জ্য থেকে শহরে যাতে দুর্গন্ধ না ছড়ায় সেজন্য ময়লা-আবর্জনা ফেলতে চালু করা হবে ঢাকনাযুক্ত কন্টেইনার ডাস্টবিন। এ প্রকল্প চালু হলে শহরের সব আবর্জনা ঢাকনাযুক্ত স্থানে জমা করে নেওয়া হবে ঝুমঝুমপুর প্ল্যান্টে।

এ কাজে ৯০টি কান্টেইনার ডাস্টবিন ও ১০টি ডাম্পিং ট্রাক ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের কাজের জন্য একটি বুলডোজার ও একটি এক্সকেভেটর থাকবে।

এখন প্রকল্পের চারপাশে ১৫-২০ ফুট উঁচু প্রাচীর তৈরির কাজ চলছে। ইতোমধ্যে স্থাপন করা হয়েছে কম্পোস্ট প্ল্যান্ট, প্রি-ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বায়োগ্যাস ডাইজেস্টার, কন্ট্রোল ল্যান্ড ফিল সেইভ ও ইন্ট্রিগেট স্যানেটারি ল্যান্ড ফিল সেইভ। নির্মাণ হয়েছে অফিস, স্টাফ কোয়ার্টার, ট্রাক শেড। প্রক্রিয়াজাত কেন্দ্রের ডাস্ট ফেলার জন্য পাঁচটি পুকুর খননের কাজ চলছে।

যশোর পৌরসভা ছাড়াও ঝিকরগাছা পৌরসভাসহ আশপাশের এলাকার বর্জ্যও এ কেন্দ্রে নেওয়া হবে। আবর্জনা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়েই চলবে প্ল্যান্টের যাবতীয় কাজ।

এ ছাড়া বর্জ্য থেকে জৈবসার উৎপাদন করে বাজারজাত করা হবে। উৎপাদিত বায়োগ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে আশপাশের এলাকার বাসাবাড়িতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শরিফ হাসান জানান, ২০১৬ সালের শেষের দিকে প্রকল্পটি হাতে নেয় যশোর পৌরসভা। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, পরে তা বেড়ে ৫০ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর থাকলেও পরে তা দুই বছর করা হয়। সব কাজ শেষের দিকে। উদ্বোধনের পর চলবে কারিগরি ট্রেনিং। উৎপাদন শুরু হবে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। 

কেন্দ্রের নির্মাণ কারিগরি কাজের তদারকিতে রয়েছে ওয়েস্ট কনসার্ন। বাংলাদেশ সরকার ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি ও যশোর পৌরসভা।

নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, এ প্রকল্পে খান অ্যাগ্রো নামে একটি প্রতিষ্ঠান সার উৎপাদন করবে। আগামী পাঁচ বছর তারা এ প্রকল্পে সার উৎপাদনের জন্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু জানান, নির্মিত কম্পোস্ট প্ল্যান্টের কাজ শেষের দিকে। চলতি মাসের শেষ দিকে এটি উদ্বোধন হলে পৌরবাসী দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পাবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads