• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
উপকূলে দূর্যোগ মওসুমেও চলছে ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান

গালাচিপা থেকে চরমোন্তাজ যাওয়অর পথে গহীনখালী লঞ্চঘাঁট থেকে তোলা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

দূর্ঘটনার আশঙ্কা

উপকূলে দূর্যোগ মওসুমেও চলছে ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান

  • জোবায়ের হোসেন, রাঙ্গাবালী (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ অক্টোবর ২০১৮

চলমান দূর্যোগ মওসুমেও পটুয়াখালীর উপকূলে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান। অসাধু এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালীরা নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ইঞ্জিল চালিত ছোট ছোট ট্রলার নদী পথে ব্যবহার করে আসছে। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় এর উপর নির্ভর হয়ে আছে পটুয়াখালীর বিভিন্ন চরাঞ্চল বাসীরা। অনিরাপদ এসব ট্রলারে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে পারাপারে কারণে নৌ-দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ নৌযান বন্ধ করতে পারছে না।

জানাগেছে, সাগর উপকূলে জুন থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত দূর্যোগ মওসুম। দূর্যোগ মওসুম মানেই উপকূলবাসীর জন্য বন্যা কিংবা জলচ্ছ্বাস আতঙ্ক। আর চলতি দূর্যোগ মওসুমে সকল প্রকার অনিরাপদ নৌযান বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু পটুয়াখালীর চরাঞ্চলের বিভিন্ন নৌরুটে তা মানা হচ্ছেনা। বঙ্গোপ সাগর সংলগ্ন পটুয়াখালীর আগুনমুখা, তেতুলিয়া, বুড়াগৌরাঙ্গ সহ উত্তাল নদী গুলোতে চলছে ফিটনেস ও অনুমোদন বিহীন ছোট ছোট ট্রলার ও ইঞ্জিন চালিত নৌকা। ঝুঁকিপূর্ণ এসব ইঞ্জিল চালিত নৌকায় প্রতিনিয়ত যাত্রীরা পারাপার করছে। এতে করে যে কোন সময় বড় ধরনের নৌ-দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন যাত্রীরা।

সরেজমিনে দেখাগেছে, গলাচিপা থেকে চরমোন্তাজ, কোড়ালিয়া থেকে চালিতাবুনিয়া, চমোন্তাজ থেকে উলানিয়া, চরকাজল থেকে বদনাতলি এসব নৌরুটে ফিটনেস বিহীন ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান চলাচল করছে। পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলা সহ বিভিন্ন দ্বীপের সাথে সড়ক পথে জেলা শহরের কোন প্রকার সংযোগ নেই। যোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে নদী পথেই ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে যাতায়াত করতে হয় হাজারো যাত্রীদের। দূর্ঘটনায় প্রাণহানীর আগেই উপকূলীয় এলাকায় এসব অবৈধ নৌ-যানের পরিবর্তে নিরাপদ লঞ্চ সার্ভিস চালু হবে এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।

রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ স্লুইস বাজারের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম জানান, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের চারদিকে নদী। জেলা ও উপজেলা থেকে এ ইউনিয়নটি বিচ্ছিন্ন। কোন দিকে যেতে হলে নৌ-পথেই যেতে হয়। অথচ এই রুটে বিআইডব্লিউটি নির্ধারিত একটি মাত্র লঞ্চ। যাতে দৈনিক একবার পার হওয়া যায়। বাকি সময় লঞ্চ থাকেনা। তাই জনগন প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ট্রলার গুলোতেই চলাচল করে।

ওই এলাকার অরেক ব্যবসায়ী কবির মোল্লা বলেন, ফিটনেসবিহীন ওইসব ট্রলার গুলোতে যাত্রী চলাচলই দায়। কিন্তু ট্রলার মালিকরা অধিক লাভের আশায় যাত্রীর সাথে মাল বোঝাই করে নেয়। তাতে যাত্রীদের কষ্টের সীমা থাকেনা। সেই সাথে প্রতিনিয়ত প্রাণ হাতের মুঠোয় নিয়ে পারাপার করতে হয়।

রাঙ্গাবালী উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন জানান, ইতমধ্যে বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। দূর্যোগ মওসুমে এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ট্রলারে যাত্রী চলাল করলে যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পরে। আমরা এব্যাপারে অচিরেই পদক্ষেপ নিচ্ছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads