• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯

প্রতীকী ছবি

সারা দেশ

দোহাজারী-ঘুমধুম রেলপথের কাজ এগিয়েছে ১৭ ভাগ

  • মাহমুদুল হক বাবুল, উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ অক্টোবর ২০১৮

বহুল প্রত্যাশিত দোহাজারী থেকে কক্সবাজার হয়ে মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। প্রথম লটের কাজ শুরুর পর ট্রান্স এশিয়ান রেল করিডোরে যুক্ত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এডিবি ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা ব্যয়ে দোহাজারী ভায়া কক্সবাজার হয়ে সীমান্তের ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৯ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণে প্রথম লটের কাজ শুরু করেছে চীন এবং বাংলাদেশের দুটি প্রতিষ্ঠান। দোহাজারী-কক্সবাজার ১০১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয়েছে চলতি বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে। মার্চের প্রথম সপ্তাহে রামু-কক্সবাজার লাইনের কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে দুটি ধাপে প্রায় ১৭ শতাংশ কাজ এগিয়ে গেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২ হাজার ৬৮৭ কোটি ৯৯ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রথম লটে দোহাজারী-রামু রেলপথ নির্মাণের কাজের চুক্তি হয় চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ এবং তমা কনস্ট্রাকশনের মধ্যে। দ্বিতীয় লটে ৫০২ কোটি ৫ লাখ ২ হাজার টাকা বরাদ্দে কক্সবাজার-রামু লাইন নির্মাণ কাজের চুক্তি হয় চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে। শর্তানুযায়ী পরবর্তী তিন বছরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক (পিডি) প্রকৌশলী মফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, দ্বিতীয় লটে কক্সবাজার থেকে মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথের কাজ শুরু করার কথা রয়েছে।

তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানির পরিচালক সুকুমার ভৌমিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত জুলাই মাসে রেললাইন প্রকল্পের কাজ শুরু করা হলেও কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক। তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে যথাসময়ে কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। রামু-কক্সবাজার দ্বিতীয় লটের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের উপপ্রকল্প পরিচালক আনান কুনখানী জানান, চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু করেছি। এ পর্যন্ত ১৭ শতাংশ কাজ এগিয়ে গেছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-দোহাজারী ভায়া ঘুমধুম রেল প্রকল্পে রয়েছে ৯টি রেলস্টেশন, ৪টি বড় ও ৪৭টি ছোট ব্রিজ, ১৪৯টি বক্স কালভার্ট, ৫২টি রাউন্ড কালভার্ট। ঘণ্টায় ১শ’ কিলোমিটার গতিসম্পন্ন রেললাইনে অত্যাধুনিক অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থা সংযোজন হবে। এ ছাড়া কক্সবাজার সৈকতের কাছে ঝিনুকের আদলে তৈরি করা হবে অত্যাধুনিক রেলস্টেশন। এ রেললাইনটি তৈরি করতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার উভয় দিকে প্রায় ১ হাজার ৪শ’ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ২০১৩ সালের ১৯ এপ্রিল একনেকের সভায় দোহাজারী ভায়া কক্সবাজার ঘুমধুম পর্যন্ত রেল প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

নাইক্ষ্যংছড়ির ইউএনও সাদিয়া আফরিন কচি জানান, দোহাজারী-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যোগাযোগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। রেললাইনটি ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের করিডোরে যুক্ত হচ্ছে। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads