• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
সমস্যায় বন্দি বুড়িমারী স্থলবন্দরের সম্ভাবনা

লালমনিরহাটের বুড়িমারি স্থলবন্দর

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

সমস্যায় বন্দি বুড়িমারী স্থলবন্দরের সম্ভাবনা

  • লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ অক্টোবর ২০১৮

অবকাঠামোসহ নানা সমস্যার কারণে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরে ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান হলে বন্দরে রাজস্ব আয় বাড়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

১৯৮৯ সালে শুল্ক স্টেশন হিসেবে মাত্র ১৮ একর জায়গা নিয়ে স্থলবন্দরটি চালু হয়। ধীরে ধীরে বন্দরে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি বেড়েছে। এতে করে বন্দরে আরো ৫০ একর জমির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। আশপাশে পড়ে থাকা অনেক খালি জমি বন্দরের প্রয়োজনে অধিগ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

এই স্থলবাণিজ্য কেন্দ্রটিতে ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড নেই। পৃথক কাস্টম ও ইমিগ্রেশন ভবনও নেই। বন্দরের কার্যক্রমে গতি আনতে এজন্য পৃথক ভবন প্রয়োজন। এ ছাড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা খুবই দুর্বল। বন্দরে নিজস্ব পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়নের ফাঁড়ি নেই। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে নিরস্ত্র আনসার সদস্য। বন্দরের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের পরিবারের বসবাস করার আবাসিক কোয়ার্টার নেই। অবাক বিষয়, এখানে কোনো সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের বুথ বা অফিস নেই। ব্যবসায়ী ও কাস্টম কর্তৃপক্ষকে ব্যাংকিং কার্যক্রম করতে বন্দর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে পাটগ্রাম উপজেলা সদরে  যেতে হয়।

স্থানীয় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সমিতির নেতা রুহুল আমীন বাবুল জানান, বুড়িমারী স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের চ্যাংরাবান্ধা বন্দরে রেললাইন রয়েছে। বুড়িমারীর জিরো পয়েন্ট থেকে রেল সংযোগ নিতে মাত্র পাঁচশ মিটার লাইন বাংলাদেশ রেলওয়েকে বসাতে হবে। সরকার যদি রেলপথের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে পাথর, কয়লাসহ অপচনশীল পণ্য রেলওয়ের মাধ্যমে পরিবহন করা সহজ হবে। এই স্থল বন্দরের দৃশ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান হলে রাজস্ব যেমন বাড়বে, তেমনি পণ্য আমদানি-রফতানিতে সুবিধা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads