• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে অনিয়মের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহতরা (বামে) এলাকায় পুলিশের সতর্ক অবস্থান (ডানে)

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

চাঁদপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১০

  • মহিউদ্দিন আল আজাদ, চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২০ অক্টোবর ২০১৮

চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল একই গ্রাহক ৬বার নেয়ার অনিয়মকে কেন্দ্র করে ডিলার ও গ্রাহক দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে চাঁদপুর মডেল থানার ৩ পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের বাহির এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের সংঘর্ষের বহরিয়া বাজারের বেশ কয়েক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ব্যবসায়ীরা আতংকিত হয়ে দুই ঘন্টা দোকানপাট বন্ধ রাখেন।

এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ১১ রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে। বতর্মানে ওই এলাকা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন- রাজ্জাক খান (৪৫), ফারহান খান (২০), জাকির (২৫) ও মহসিন (৩০)। আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন, এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ সদস্য: সোহেল ও রেজাউল। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজ্জাক খানকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ জানায়, ডিলার ফিরোজ গত বুধবার সকালে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল এলাকার গরীব অসহাদের মাঝে বিতরণ করছিলেন। এরই মাঝে লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নান্নু শেখের ভাই আনু শেখ একবার নেয়ার নিয়ম থাকলেও ৫ বার নিয়ে ৬ বার নেয়ার জন্য আসলে ডিলার বাঁধা প্রদান করে। আনু শেখ উত্তেজিত হলে বিষয়টি ডিলার ফিরোজ চেয়ারম্যান সেলিম খানকে অবহিত করেন। সেলিম চেয়ারম্যান তাকে ৬ষ্ঠবারও চাল দিয়ে বিদায় করার জন্য বলেন। কিন্তু আনু শেখ ৬ বার চাল নিয়ে বিষয়টি মিথ্যা বানোয়াট তৈরী করে তা ভাই ইউপি সদস্যকে জানিয়ে ক্ষিপ্ত করে তুলেন।

এ ঘটনা মিমাংসার জন্য শনিবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে দু’পক্ষের লোকজন বসেন চেয়ারম্যান সেলিম খান। উভয় পক্ষ উত্তেজিত হওয়ার কারণে চেয়ারম্যান পরিষদ থেকে চলে যান। পরে উত্তেজিত দু’পক্ষ পরিষদ থেকে বেরিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইব্রাহীম খলিল জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে পুরাণবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে বিষয়টি জানালে মডেল থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ গিয়ে ১১ রাউন্ড গুলি ও দু’পক্ষকে ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশের ৩ সদস্য আহত হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads