সংযোগ সড়ক না থাকায় নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত কালভার্ট ব্যবহার করতে পারছে না স্থানীয়রা।
অভিযোগ আছে, কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই তিন বছর আগে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। এর মাধ্যমে সরকারি অর্থের অপচয় করা হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালের মার্চে পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের চর মজিদ গ্রামে বুড়িয়ার দোকানের পাশে খালের ওপর ‘বটতলী সড়কে চেইনেজ’ নামে এ বক্স কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়। এর চুক্তিমূল্য ছিল ২৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪৭৮ টাকা। জিএনপি-২-এর আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) এ কাজ বাস্তবায়ন করে।
কালভার্টটির দক্ষিণ পাশে কাঁচা সড়ক বাঁশখালী সুইচগেইট-মঞ্জু চেয়ারম্যান বাজার সড়কের সঙ্গে যুক্ত আছে। কিন্তু উত্তর পাশে কোনো সড়কের চিহ্ন নেই। মাটি থেকে উঁচু হওয়ার কারণে এটি ব্যবহার করা যায় না। উল্টো কালভার্টের দুই পাশের মাটি ধসে পড়তে শুরু করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কালভার্টটি নির্মাণের আগে ওই স্থানের দুই পাশে কোনো সড়ক ছিল না। যখন কালভার্ট নির্মাণ শুরু হয়, তখন এর দক্ষিণে কয়েক হাত মাটি ভরাট করে বাঁশখালী সুইচস-মঞ্জু চেয়ারম্যান বাজার সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। তখন মনে হয়েছিল, হয়তো কালভার্ট নির্মাণের পর উত্তরে সড়ক নির্মাণ করে যোবায়ের বাজার-রেনু বাজার সড়কের যুক্ত করা হবে। কিন্তু গত দুই বছরেও কোনো সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। অপরিকল্পিতভাবে কালভার্ট নির্মাণ করায় এটি কোনো কাজে লাগছে না।
তাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক বিবেচনায় এ কালভার্টটি নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয়। এটি নির্মাণেও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়। এর মাধ্যমে সরকারি অর্থের অপচয় হয়েছে।
আবদুল আজিজ নামের এক বাসিন্দা জানান, বাঁশখালী সুইস-মঞ্জু চেয়ারম্যান বাজার সড়কের দক্ষিণ পাশে পুরোটাই খাল। সড়ক ঘেঁষে বয়ে যাওয়া খালের দক্ষিণ এবং উত্তর পাশে অনেক বসতবাড়ি আছে। কালভার্টটি যোবায়ের বাজার-রেনু বাজার সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করা গেলে এখানে বসবাসরতরা উপকৃত হবে। নয়তো এটি কোনো কাজে লাগবে না।
কালভার্টের বিষয়ে জানতে চাইলে সুবর্ণচর এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তাসাউর জানান, তিনি যোগদানের অনেক আগেই কালভার্টটি নির্মিত হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে এ বিষয়ে খোঁজ নেবেন। একই সঙ্গে সড়ক নির্মাণের বিষয়টি বিবেচনা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, সুবর্ণচর(নোয়াখালী) প্রতিনিধি