• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
মধুপুরের আশ্বিনা আনারস স্বাদে-গুণে অনন্য

মধুপুরের আশ্বিনা আনারস স্বাদে-গুণে অনন্য

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

মধুপুরের আশ্বিনা আনারস স্বাদে-গুণে অনন্য

  • হাবিবুর রহমান, মধুপুর (টাঙ্গাইল)
  • প্রকাশিত ১৩ নভেম্বর ২০১৮

আনারস চাষের জন্য বিখ্যাত টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ের লাল মাটি। স্বাদে ও গুণে এ এলাকার আনারস অনন্য। লাল মাটিতে আনারস ভালো জন্মে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া আনারস চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী। কম খরচে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এ অঞ্চলে বছরে দুই ধরনের আনারস চাষ হয়ে থাকে। জায়েন্টকিউ ও হানিকুইন। বৈশাখ থেকে ভাদ্র পর্যন্ত পাওয়া যায় সিজনাল আর আশ্বিন থেকে পৌষ মাস পর্যন্ত পাওয়া যায় আশ্বিনা আনারস। স্বাদে সিজনাল আনারস একটু বেশি মিষ্টি। আশ্বিনা আনারস একটু টক তবে গাছে পাকলে ভালো মিষ্টি হয়ে থাকে। সিজনাল আনারস গাছে ধরে বেশি আর আশ্বিনা ধরে অনেকটা কম। তবে দামের দিক থেকে দুটিই প্রায় একই সমান। সিজনাল আনারস আসার পর উপযোগী বা বয়োপ্রাপ্ত গাছে আশ্বিনা আনারস ধরে থাকে। এ আনারসে তেমনটা হরমোন বিষ ব্যবহার করা হয় না। খেতেও কিছুটা টক। কোনো কোনোটার আবার ভালো স্বাদ হয়। এ আনারসের জন্য বাড়তি কোনো সারের প্রয়োজন হয় না। মৌসুমি আনারসের জন্য যে সার ব্যবহার করা হয় তাতেই হয়। শীতকালে আসে বলে এর চাহিদা একটু কম। এখন আশ্বিনা আনারসের বেচাকেনা শুরু হয়েছে পুরোদমে। প্রতিদিন বাজার বসছে মধুপুর গড় এলাকার কয়েক জায়গায়। মধুপুুরের জলছত্র ও মোটের বাজার এবং ঘাটাইলের সাগরদীঘিতে প্রতিদিন বেচাকেনা হচ্ছে আশ্বিনা আনারস। ট্রাক ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন জেলায় এ আনারসের সমাগম ঘটছে। এ বছর চাহিদা মোটামুটি ভালো। দামও ভালো পাচ্ছেন কৃষক। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয়ে বাজার চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। সাইকেল ভ্যান রিকশাযোগে বিভিন্ন গ্রামের বাগান থেকে আসে আনারস।

সরেজমিন জলছত্র আনারস বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ভ্যান, রিকশাযোগে আসছে আনারস। বাজারে সারিবদ্ধভাবে ভ্যান সাইকেল সাজানো হয়েছে। পাইকাররা দামাদামি করে কিনছেন আনারস। দাম মিটিয়ে আনারস গুনে বুঝে নিচ্ছেন। চাহিদামতো আনারস কিনে ট্রাকে তোলা হচ্ছে। জলছত্র বাজারেই ট্রাক ও কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন। পরিবহন পেতে কোনো সমস্যা নেই। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে এই বাজার।

কথা হয় আনারস বিক্রেতা হরমুজ আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, জলছত্র বাজারে ৩০০ আনারস তিনি ২ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। আব্বাস আলী জানান, ৪০০ আনারস ৪ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করেছেন তিনি। এ ছাড়াও আরো কয়েকজন আনারস বিক্রেতা জানান, সিজনাল আনারসের চেয়ে আশ্বিনা আনারসের দাম কিছুটা কম। কারণ হিসেবে তারা জানান, এ আনারস খেতে কিছুটা টক অন্যদিকে দূরদূরান্ত থেকে পাইকার আসেন না।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, মধুপুর এলাকায় এ বছর ৬ হাজার ৫৭১ হেক্টর জমিতে আনারস চাষ হয়েছে। এর মধ্যে জায়েন্টকিউ ৬ হাজার ৩৮১ হেক্টর এবং হানিকুইন ১৯০ হেক্টর। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ৫৯২ টন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads