• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
মুষ্টিচালের ক্ষীর-পায়েসে মিষ্টিমুখ

মুষ্টিচালের ক্ষীর-পায়েসে মিষ্টিমুখ

সারা দেশ

নবান্ন উৎসব

মুষ্টিচালের ক্ষীর-পায়েসে মিষ্টিমুখ

  • নওগাঁ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ নভেম্বর ২০১৮

শিক্ষার্থীদের আনা মুষ্টিচাল থেকে তৈরি হয়েছে ক্ষীর ও পায়েস। পরিবেশন করা হয়েছে কাঁঠাল পাতার ঠোঙ্গায়। ক্ষীর-পায়েস খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে তালপাতার চামচ। এ যেন এক অন্য রকম নবান্ন উৎসব। অগ্রহায়ণের প্রথম দিন গতকাল শুক্রবার নওগাঁর পশ্চিম নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ দৃশ্য দেখা যায়। স্কুলটিতে দিনব্যাপী এই নবান্ন উৎসবের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক ‘একুশে পরিষদ নওগাঁ’।

আয়োজকরা জানান, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা সকালে বিদ্যালয়ে আসার সময় সঙ্গে নিয়ে এসেছিল মুষ্টি চাল। সেই চাল থেকে তৈরি ক্ষীর ও পায়েস দিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আগত অতিথিদের আপ্যায়ন করানো হয়। গ্রামীণ ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে কাঁঠালের পাতার ঠোঙ্গা ও তালপাতার চামচে খাবার পরিবেশন করা হয়। সঙ্গে ছিল মুড়ি-মুড়কি।

পরে নবান্ন উৎসবের আলোচনায় বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হাসেম আলির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন একুশে পরিষদ নওগাঁর উপদেষ্টা শরিফুল ইসলাম খান ও ময়নুল ইসলাম, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এমএম রাসেল। এরপর চলে নাচ, গান, গল্প ও কবিতা আড্ডা।

একুশে পরিষদের উপদেষ্টা শরিফুল ইসলাম খান বলেন, বাঙালির এক প্রিয় উৎসব নবান্ন। আমনের নতুন ধানে বাঙালির ঘরে ঘরে নতুন ধানের পিঠা ও পায়েস উৎসব হয়ে থাকে। অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়ে থাকে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এমএম রাসেল বলেন, আগে আমরা দেখতাম গ্রামে আমাদের মা-খালারা বাড়িতে নতুন ধান উঠলেই সেই ধানের চাল দিয়ে ক্ষীর, পিঠাপুলি তৈরি করে প্রতিবেশীদের মধ্যে বিতরণ করতেন। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ আবহমানকাল থেকে এ উৎসব পালন করে আসছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads