জেলার কলারোয়ায় বাবা-মা প্রেমের স্বীকৃতি না দেওয়ায় স্মৃতি খাতুন (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মারাত্মকভাবে দগ্ধ হয় সে। এ ঘটনার ৯ দিন পর গতকাল শনিবার ভোরে ঢাকার বাডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় স্মৃতি। এ ঘটনা জানার পর গতকাল সকাল ১০টার দিকে প্রেমিক আলামিন (১৬) যশোরের এক আত্মীয়ের বাসায় বিষপানে আত্মহত্যা করে। সে ওই জেলার ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী।
এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার পাটুলিয়া গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে স্মৃতি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার শিমুলিয়া হাইস্কুলে পড়ত। লেখাপড়ার সুবাদে একই ক্লাসের ওই আলামিনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি স্মৃতির বাবা-মা জানতে পেরে তাদের প্রেমের স্বীকৃতি না দিয়ে বকাঝকা দিয়ে মেয়েকে মামার বাড়ি উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামে রেখে আসে। একপর্যায়ে গত ৯ নভেম্বর স্মৃতি বাবা-মার ওপর অভিমান করে মামার বাড়ির ছাদে উঠে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
তাৎক্ষণিকভাবে মামার বাড়ির লোকজন স্মৃতিকে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে রাতে স্মৃতি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এ ঘটনা প্রেমিক আলামিন জানতে পেরে যশোরের এক আত্মীয়ের বাসায় সকালে বিষপান করে আত্মহত্যা করে।