• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
কালকিনিতে লেপ-তোষকের দোকানে শীতের আমেজ

কালকিনিতে লেপ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা

ছবি: বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কালকিনিতে লেপ-তোষকের দোকানে শীতের আমেজ

  • কালকিনি (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ নভেম্বর ২০১৮

পৌষে শীতের আগমন হবার কথা থাকলেও হেমন্তের শুরুতেই আগমনী বার্তা দিচ্ছে শীত। ধীরে ধীরে কমছে দিনের তাপমাত্রা। রাতে বইছে হিমেল বাতাস, ভোরে ঝরছে কুয়াশা আর অনুভূত হচ্ছে শীত। শীতের আগমনী বার্তার কড়া নাড়া শুরু হয়েছে এরই মধ্য। শীত জেঁকে বসার আগেই মাদারীপুরের কালকিনিতে লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে। ক্রেতারা ভিড় জমাতে শুরু করেছে লেপ-তোষকের দোকানে।

সরেজমিনে কালকিনি বাজারের বিভিন্ন তুলার দোকান ঘুরে দেখা গেছে, রেডিমেড লেপ-তোষকের চেয়ে ক্রেতারা পছন্দমতো লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার দিচ্ছেন বেশি। তাই লেপ-তোষকের কারিগরদের শীত আসার আগেই শুরু হয়ে গেছে ব্যস্ততা। লেপ-তোষকের দোকানগুলোতে বাড়ছে ক্রেতার আনাগোনা।

কারিগররা জানান, ক্রেতাদের এই আনাগোনা চলবে পুরো শীতজুড়ে। বছরের অন্য সময় মন্দাবস্থা থাকলেও শীতের মৌসুমে বেশ চাঙ্গা এ ব্যবসা।

কালকিনি বাজারের থানার মোড় রোডের ‘মেসার্স জননী বেডিং স্টোরের’ প্রপাইটর সিরাজুল ইসলাম বলেন, শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা এখন ব্যাপক কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দোকানে বেড়েছে বেচা-কেনা। তবে এটা সিজনালী ব্যবসা বলে গত তিন-চার মাসের চেয়ে তুলা,কাপড়ের দাম ১০-১৫ টাকা করে বেড়ে গেছে । কারিগরদের ১০০ টাকার মজুরি ২০০ টাকা করে দিতে হয় তাই দামটাও এসময়ে একটু বেশি নিতে হয়। যতই শীত বাড়বে ততই লেপ তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা আরো বৃদ্ধি পাবে।

একই পট্টির মেসার্স নাঈম বেডিং স্টোরের এর বিক্রেতা মো. বাবুল মিয়া বলেন, শীতের সময়ে সুতা,তুলা, কাপরের দাম বেড়ে যায় তাই আগেভাগে এসব কেনার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের যদি কম সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে এই শিল্পকে আমরা আরও প্রসারিত করতে পারতাম।

লেপ-তোষক তৈরির দোকানে ভীড় করা ক্রেতারা জানান, কাপড়, তুলাসহ মজুরি বেড়ে গেছে। শীত বেড়ে গেলে এগুলোর দাম আরো বেড়ে যাবে। যে কারণে আগেই লেপ-তোষক তৈরি করাচ্ছেন।

গোবিন্দ মন্ডল নামে এক ক্রেতা বলেন, দিনে গরম হলেও রাতের শীতল হাওয়া আর ভোর রাতের ঘন কুয়াশাই বলে দিচ্ছে শীত এসেছে। তাই তো লেপ-তোষকের দোকানে এসেছি। তবে দাম একটু বেশি বলে মনে হচ্ছে।

এলাকার স্বপন-সরাফাত রোডের মোল্লা বের্ডিং স্টোরের মালিক মিয়াদুল মোল্লা বলেন, তুলার মান ও পরিমাণের ওপর নির্ভর করে লেপ-তোষক তৈরির খরচ। এবার তুলার দাম বাড়েনি। তবে কাপড়ের দাম বেড়ে গেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads