বুধবার বগুড়া সেনানিবাসে ৪৭তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। সেনাবাহিনীর বগুড়া অঞ্চলের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দিবসটি উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য অত্র অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধা, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সামরিক-অসামরিক ব্যক্তিগণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ এবং মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া এরিয়া মেজর জেনারেল মোঃ সাইফুল আলম আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে তার স্বাগত ভাষণ প্রদান করেন।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার এবং স্বাধীনতা বাঙ্গালী জাতি শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান যিনি দেশ ও মানুষের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তারই ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের এই দিনে দেশ মাতৃকাকে পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে এদেশের মুক্তিকামী আপামর জনতার সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় বীর সেনানীরা পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ে। এই সম্মিলিত প্রয়াসে ত্বরান্বিত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা অর্জন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সীমাহীন ত্যাগ তিতিক্ষা ও লাখো শহীদের আত্মোসর্গের বিনিময়েই আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। আজকের এই বিশেষ দিনে আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধের সেই সব অকুতোভয় শহীদদেরকে যাদের সুমহান আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছিল আমাদের প্রাণ প্রিয় স্বাধীনতা। এই মহান দিনে সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং তাদের পরিবারবর্গের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি’।
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ১১ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার বগুড়া এরিয়া উপস্থিত সকল গন্যমান্য সদস্যদের সাথে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০১৮ উপলক্ষে কেক কাটেন। পরে মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গকে সম্মাননা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী জুনাইয়েদ আহমেদ পলক, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট শামছুল ইসলাম টুকু, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন, বগুড়া ১ আসনের এমপি আব্দুল মান্নান, বগুড়া-৫ আসনের এমপি আলহাজ্ব হাবিবর রহমান, বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন প্রমুখ।