সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ঝুমু রানী দে নামে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রী বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় ধর্মপাশা উপজেলা সদরের চৌধুরী বাড়ি এলাকার পিন্টু দের বাড়িতে গিয়ে ওই বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান।
বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া ঝুমু রাণী দে ওই গ্রামের পিন্টু দের মেয়ে ও সে উপজেলা সদরের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
ইউএনও ওবায়দুর রহমান জানান, ধর্মপাশা উপজেলা সদরের চৌধুরী পাড়া এলাকার বাসিন্দা পিন্টু দের মেয়ে ও উপজেলা সদরের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ঝুমু রানী দের সঙ্গে শনিবার রাতে পাশের নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহরের দেওথান কালী বাড়ি এলাকার রবী চন্দ্র দের ছেলে রাজীব চন্দ্র দের সাথে বাল্য বিয়ের আয়োজন চলছিল। এমন সংবাদ পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদেরকে নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় ওই বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করা হয়।
তিনি বলেন, ওই ছাত্রীর বাবাসহ পরিবারের লোকজনদেরকে ডেকে এনে বাল্য বিয়ের কুফল সম্পর্কে বোঝানো হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হবে না এ মর্মে তাদের কাছ থেকে মুচলেকাও রাখা হয়েছে।