• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
পটুয়াখালী-৪ আসনে আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করছেন পটুয়াখালী-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী এবিএম মোশাররফ হোসেন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

পটুয়াখালী-৪ আসনে আ.লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

  • কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের রাঙ্গাবালী উপজেলায় মঙ্গলবার বিকালে নির্বাচনী প্রচারণাকালে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে আ’লীগ ও বিএনপি। দু’দলই হামলায় জড়িত সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

বুধবার সকাল ১১টায় কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন লিখিত বক্তব্যে বলেন, মঙ্গলবার রাঙ্গাবালী উপজেলার খালগোড়া বাজারে পথসভা করার আগেই যুবলীগ নেতা রিয়াজ মৃধা, রেসাদ ও চেয়ারম্যান মামুন খানের নেতৃত্বে হামলা করে দলীয় অন্তত ১৫০ নেতাকর্মীকে আহত ও জখম করে। চর মোন্তাজ ইউনিয়নের বশির ফকিরের পা কেটে দেয়। এছাড়া কাওসার আহম্মেদ, সাহজুল মীর, আলাউদ্দিন প্যাদা, সাইদুল গাজী, মন্নান মীর, খোকন, মোকলেছ মীর, রেশাদ, রিয়াদ আকন, রাব্বি, জাকির মোমিন হাওলাদার, মোকলেছুর হাওলাদার, মোশারফ লাহেরী, বেলাল খলিফা ও রহিম খলিফা রক্তাক্ত জখম হয। এরা বরিশাল, কলাপাড়া ও গলাচিপা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিঁনি অভিযোগ করেণ, ধুলাসারের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ইউনুচ দালাল, শাকিল, এমদাদ মৃধা, হাবিবের নেতৃত্বে মঙ্গলবার চাপলী বাজারের বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয়ের চেয়ার টেবিল লুট করে নেয়। ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নে প্রচার মাইক ভাংচুর করা হয়। একইদিন কুয়াকাটায় আওয়ামীলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী মজিবর, মিলন পাহলান, খালেক খান ও মহিবুল্লাহ চৌকিদারের নেতৃত্বে প্রচার মাইক ভাংচুর করা হয়। মহিপুর বাজারে নির্বাচনী প্রচারে বাঁধা দেয়। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।

বেলা ১২টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে অপর সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাকিবুল আহসান লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, রাঙ্গাবালীতে আ’লীগের নির্ধারিত পথসভা চলছিল। তার পাশের ধানের শীষ প্রতীকের পথসভার আয়োজন করে। বিএনপি প্রার্থী এবিএম মোশাররফ হোসেন পথসভায় উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জামায়াত ও বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসী কবির তালুকদার, রহমান মাষ্টার, সাবু মিয়া, সোহাগ আকন, জাকির, নিয়াজ, বিপু, ইব্রাহীম, রহমান ফরাজী, মোতালেব হাওলাদার, মামুন হাওলাদার ও রাকিব হাওলাদারের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা চালায় আ’লীগ কর্মী সমর্থকদের ওপর। হামলায় রাঙ্গাবালী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক লিটু, হাবিবুল বসার তোতা, শাহারুল হাওলাদার, কালাম হাওলাদার, রাহাত, ইউপি সদস্য শিমুল , সাদ্দাম, সোহেল মীর, মহাসীন, বিপ্লব, আতিকুর, কামাল, সোহেল মিয়াসহ অর্ধশত আহত হয়। এরা বর্তমানে কলাপাড়া, গলাচিপা ও বরিশালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

তিনি বলেন, ধুলাসার, মহীপুর ও কুয়াকাটায় যে ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে এবং যাদের নাম বলা হয়েছে তারা আওয়ামী লীগের কেউ নয়। এ হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেউ জড়িত নয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত কলাপাড়ান উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব তালুকদার বলেন, এ আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাটি। নৌকা এখানে নিশ্চিত বিজয়ী হবে। বিএনপি নিশ্চিত পরাজয় হবে বুঝতে পেরে এখন হামলা ও লুটপাটের মিথ্যা গল্প বানিয়ে প্রচার করছে।

পৌরসভার মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, বিএনপি যেসব আহতদের নাম উল্লেখ করেছে তারা স্থানীয় কেউ না, বহিরাগত। এই বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এ অনাকাঙ্খিত পরিবেশ সৃষ্টির জন্যই জড়ো হয়েছিলো। যাদের কয়েকজনকে পুলিশ ট্রলারসহ আটক করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নেতারা নির্বাচনের আগে চিহ্নিত ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার  ও অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads