আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি ড.কামাল হোসেনকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছেন, আপনি এতো বড় বড় কথা বলছেন কিন্তু নির্বাচনে দাঁড়ান না। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলে আপনি সংসদ সদস্য হয়েছেন, মন্ত্রী হয়েছেন। আপনি দেশের যেকোনো জায়গায় নির্বাচনে দাঁড়ালে আওয়ামী লীগের যে কোনো কর্মীর কাছে জামানত হারাবেন।
সোমবার বিকেলে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর দিননাথ হাইস্কুল মাঠে রঘুনাখপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ সেলিম বলেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ৭১’র পরাজিত শক্তি ও বঙ্গবন্ধুর খুনিরা একত্রিত হয়েছে আওয়ামী লীগকে ষড়যন্ত্র করে নিশ্চিন্ন করতে। এই অপশক্তি দূনীর্তি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াকে বাঁচাতে ঐক্যফ্রন্ট করেছে। এটা কিসের ঐক্য। এটা খুনিদের ঐক্য। জনগণের ঐক্য নয়। উনি তো স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির সাথে ঐক্য করে রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। উনার রাষ্ট্রপতি হওয়ার স্বপ্ন এদেশে কোনো দিন পূরণ হবে না।
তিনি বলেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে তারেক জিয়াসহ পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।ড. কামাল হোসেনরা ষড়যন্ত্র করছেন, যাতে তৃতীয় কোন শক্তি ক্ষমতায় আসতে পারে এবং খালেদা ও তারেক জিয়াকে বাঁচানো যায়। খালেদা জিয়ার তো কেবল দুইটি মামলায় সাজা হয়েছে, আরো মামলা আছে, ওই সব মামলায়ও খালেদার সাজা হবে।
ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারকে পাগলের ইশতেহার উল্লেখ করে শেখ সেলিম বলেন, কি পাগল, চিন্তা করলে হাসবেন। সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাদে সরকারি চাকরিতে না কি কোনো বয়সসীমা থাকবে না।
রঘুনাথপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শ্রীবাস চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী লিয়াকত আলী লেকু, সাধারন সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম মিটু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
