• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
লক্ষ্মীপুরে এম এ সাত্তার ট্রাস্টের উদ্যোগে মেধাবীদের বৃত্তি ও সংবর্ধনা

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

লক্ষ্মীপুরে এম এ সাত্তার ট্রাস্টের উদ্যোগে মেধাবীদের বৃত্তি ও সংবর্ধনা

  • লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ জানুয়ারি ২০১৯

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৪১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮৬৩ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে সদর উপজেলার মান্দারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার ট্রাস্টের উদ্যোগে এ উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ এম এ সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জন চন্দ্র পাল। এসময় বৃত্তিপ্রাপ্তদেরকে ক্রেস্ট ও শিক্ষা বৃত্তির নগদ অর্থসহ সকল শিক্ষার্থীর মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: শাজাহান আলি, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান মোল্লা ও মান্দারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহিম।

এসময় ট্রাস্টের প্রতিনিধি ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সামছুদ্দিন সাজু, মান্দারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামছুদ্দিন বাবুল ও শ্যামলী আইডিয়াল ইনস্টিটিউট লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পাসের অধ্যক্ষ মো. বাবুল হোসেন খান, মান্দারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুজ্জামান বেগ বাবলুসহ বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্রাস্ট সূত্র জানায়, গত ৭ ডিসেম্বর মান্দারী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও শ্যামলী আইডিয়াল ইনস্টিটিউট লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষ এম এ সাত্তার ট্রাস্টের উদ্যোগে বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদর উপজেলার ১৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ৮৬৩ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এরমধ্যে ৩টি বিভাগে মেধা তালিকায় শীর্ষে থাকা ৮৪ জনকে ক্রেস্ট ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এছাড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী অন্য ৭৭৯ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি সনদ দেওয়া হয়েছে।

বক্তারা বলেন, নতুন প্রজন্ম গড়ার কাজে আমাদের শিক্ষকরাই সবচেয়ে বড় দায়িত্ব পালন করে থাকেন। স্কুল শুধুমাত্র বই পড়ার জন্য সীমাবদ্ধ নয়। এখানে পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা ও অন্যান্য আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধ করতে হবে। শুধুমাত্র পরীক্ষার ফলাফল দেখে নয়, বরং প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বাস্তব মেধা মূল্যায়ন করে তাকে কাঙ্খিত পথ দেখাতে হবে। এছাড়াও ছেলেমেয়েদের নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ সচেতন হওয়ার জন্য মা-বাবাদের প্রতি আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads