• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
মনোহরগঞ্জে একই পরিবারের পাঁচ জনের হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

মনোহরগঞ্জে একই পরিবারের পাঁচ জনের হিন্দু থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

  • কুদরত উল্যাহ, মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা)
  • প্রকাশিত ২০ জানুয়ারি ২০১৯

২০১৩ সালে গাজীপুর আব্দুস সালাম মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেকের হাত ধরে মনোহরগঞ্জের হাটিরপাড় গ্রামের প্রদ্বীপ কুমার সাহা সহ একই পরিবারের পাঁচ সদস্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সাড়ে চার বছর পর আসলেন নিজ জন্ম ভূমি হাটিরপাড় গ্রামে। বাঁধা ছিল তাদের সমাজ এবং সনাতন ধর্মের পরিবাররা।

এ খবর পাওয়ার পর হাটিরপাড় মুসলিম সমাজ ঐ পরিবারকে এলাকায় আসার আহবান জানান। স্থানীয় মুসলিমদের সহোযোগীতা পেয়ে দীর্ঘদিন পর তারা নিজ গ্রামে আসেন। তাদের আগমন উপলক্ষ্যে স্থানীয় মুসলিম ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ মসজিদের খতিব মাওলানা মোতাহের হোসেন তাদের উৎসাহ উদ্দিপনা যোগায়।

বর্তমানে প্রদ্বীপ কুমার সাহার মুসলিম হওয়ার পর নতুন নাম রাখা হয় “নূর মোহাম্মদ”। তার সাথে ছিলেন তার দুই ছেলে, স্ত্রী ও শাশুড়ি। বড় ছেলে ধর্ম ত্যাগ করার পূর্বের নাম ছিল ইমন সাহা, মুসলমান হওয়ার পর তার নাম রাখা হয় “মোহাম্মদ ইসমাইল হাসান”। ছোট ছেলের নাম ছিল সৈকত সাহা, ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তার নাম রাখা হয় “শাহাদাৎ হোসেন”। তার স্ত্রী সরস্বতীর নাম খাদিজাতুল কোবরা। এবং নূর মোহাম্মদের শাশুড়ির নাম ছিল সুমি রানী। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পর তার নাম রাখা হয় “ফাতেমাতুজ জোহরা”।

ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর নিজ ভূমিতে ফিরে এক প্রতিক্রিয়ায় নূর মোহাম্মদ বলেন, তিনি স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে ইসলাম ধর্মের কুরআন এবং হাদিসের বানী এবং বিভিন্ন আলেম ওলামাদের বয়ান শুনার পর মনে হয় ইসলাম ধর্ম তার নাজাতের জন্য যথেষ্ট এবং আখেরী নবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) সর্ব শেষ নবী এবং সঠিক ধর্ম হিসেবে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

তার পরিবারের সদস্যরা বলেন আমাদের হিন্দু ধর্ম ত্যাগের কথা শুনে পূর্বের ধর্মাবলম্বীরা গত বৃহস্পতিবার দলবল নিয়ে এসে তাঁরা মানসিক টর্চার শুরু করেন । পরে স্থানীয় মসজিদের খতিব সহ এলাকার লোকজন সহযোগীতা করেন এবং এলাকাবাসীর কাছে তাদের জন্য সাহায্য সহযোগীতার হাত বাড়ান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads