• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
রংপুরে পুকুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ব্যবহৃত রকেট লঞ্চার

রংপুরে পুকুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ব্যবহৃত রকেট লঞ্চার

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

রংপুরে পুকুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ব্যবহৃত রকেট লঞ্চার

  • মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৮ জানুয়ারি ২০১৯

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ব্যবহৃত একটি সেভেনটি ফাইভ মিলিমিটার রকেট লঞ্চার উদ্ধার করেছে পুলিশ ও র‌্যাব।

গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার জায়গিরহাটের একটি শুকনা পুকুরে গর্ত খোঁড়ার সময় পরিত্যক্ত অবস্থায় রকেট লঞ্চারটি উদ্ধার করা হয়। পরে সেটি র্যাবের বোমা বিশেষজ্ঞ ইউনিট নিষ্ক্রিয় করে।

র্যাব ১৩-এর রংপুরের সিপিএসসি কমান্ডার (অ্যাডিশনাল এসপি) মোতাহার হোসেন বলেন, মিঠাপুকুরের লতিবপুর ইউনিয়নের জায়গিরহাট নিশ্চিন্তপুর আলোয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের শুকনা পুকুর খোঁড়ার সময় দুই যুবক রকেট লঞ্চারটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। বিকেল ৫টায় র্যাবের একটি বোমা স্কোয়াড টিম রকেট লঞ্চারটি উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে দেড় মাইল দূরে গিয়ে একটি ফাঁকা জমিতে নিষ্ক্রিয় করে।

র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, রকেট লঞ্চারটি সেভেনটি ফাইভ মিলিমিটার। এটি এখন আর ব্যবহৃত হয় না। মূলত পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সময় অস্ত্রে লোড করে এটি ব্যবহার করতো বাঙালিদের ওপর। রকেট লঞ্চারটির ওজন ৩ কেজি ৫০০ গ্রাম।

র্যাব-১৩-এর বোমা স্কোয়াড সেলের সদস্য সার্জেন্ট হাবিবুর রহমান বলেন, খবর পাওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থল থেকে রকেট লঞ্চারটি উদ্ধার করে ফাঁকা জমিতে নিয়ে গিয়ে নিষ্ক্রিয় করি।

মিঠাপুকুর থানা পুলিশের এসআই ফজলুল হক বলেন, ৯০-এর দশকে ওই স্থানে একটি মুক্তিযুদ্ধকালীন ট্যাংক পাওয়া গিয়েছিল। পাকিস্তান সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করার জন্য এসব অস্ত্র সেখানে এনেছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় রাসেল মিয়া বলেন, দুপুরে শুকনা পুকুরটিতে খেলছিল এলাকার ছেলেরা। সেখানের পাশেই একটি গর্ত করে মাটি নিয়ে যাচ্ছিল পাশের বাড়ির সেফাউল ইসলামের ছেলে সেতু ও গোলজার দামু মিয়ার বাক প্রতিবন্ধী রাশেদুল ইসলাম। কিছু মাটি গর্ত করার পরপরই বোমাসদৃশ বস্তুটি দেখতে পায় তারা। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি বিষয়টি মিঠাপুকুর থানা পুলিশকে জানান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads