পটুয়াখালীর দুমকিতে রেকর্ডিও সরকারী খাল বে-দখল হয়ে যাচ্ছে । গড়ে তোলা হচ্ছে নিত্য নতুন দোকান পাট। প্রকাশ্যে এমন খাল দখলের কার্যক্রম চললেও সংশ্লিষ্ট ভূমি প্রশাসন রয়েছে নির্বিকার। উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের দুমকি-সাতানী ‘কালবার্ড’ বাজার এলাকায় এমন অবৈধ খাল দখলের উৎসব চলছে।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, কালবার্ড বাজার সংলগ্ন দুমকি-সাতানী রেকর্ডিও খালের পাড়ে গড়ে ওঠা দোকানীরা ভিটির যায়গা বর্ধিত করতে আস্তে আস্তে পেছনের খালটি দখল করে ফেলেছে। সরকারী নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে স্থানীয় প্রভাবশালী কতিপয় দোকান-মালিক দিনে দুপুরের রাস্তার পাশের টিনশেড দোকান পেছনে ঠেলে পুরো খাল দখল করে ফেলছেন। দেখা-দেখি অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও তাদের দোকান গুলো পেছনে খালের ওপর ঠেলে দিয়ে ভিটি বর্ধিত করে খালটি প্রায় সম্পূর্ণই দখল করে নিয়েছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবে মৃত মোতালেব শরীফের ছেলে সহিদ শরীফ তার দোকানগুলো প্রকাশ্যে লোকজন নিয়ে পেছনে ঠেলে খালের ওপর বসায়। তার দেখাদেখি অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও খালের মধ্যে মাচা দিয়ে তাদের দোকান গুলো সড়িয়ে নেয়। এভাবে বাজারের খালপাড় সংলগ্ন দোকান গুলো পেছনে ঠেলে দিয়ে সরকারী রেকর্ডিও খালটি পরোপুরি বে-দখল হয়েছে। দুমকি-সাতানী গ্রাম ও পার্শ্ববর্তি আঠারগাছিয়া গ্রামের পানি ওঠা-নামার একমাত্র রেকর্ডিও খালটি বেদখল হয়ে যাওয়ায় এলাকার কৃষকরা শংকিত হয়ে পড়েছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে সমুহ জলাবদ্ধতার আশংকায় কৃষিজীবি পরিবারগুলো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। মোশারফ সিকদার, নুরহক হাওলাদার, সুজন জোমাদ্দার সহ কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, খালটি এভাবে বে-দখল হওয়ায় পানি ওঠা-নামায় মারাত্মক বিঘেœর সৃষ্টি হবে। তারা জলাবদ্ধতায় ফসলহানীর আশংকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ভবিষ্যত কৃষির আবাদ ও ফসল রক্ষায় অবিলম্বে দখল উচ্ছেদ করত: খালের পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখার দাবি করেছেন।
খাল দখল প্রশ্নে দোকানীরা জানায়, বাজারের রাস্তা সংস্কারের জন্য সওজ দোকানপাঠ সড়িয়ে নিতে বলায় তাদের দোকানগুলো খালের মধ্যে ঠেলে স্থানান্তর করেছে। রাস্তা সংস্কার শেষে তারা ফের আগের যায়গায় চলে আসবেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দায়িত্বরত সহকারী কমিশনার (ভূমি) রায়হান আহমেদ বলেন, মৌখিক অভিযোগ শুনেই লোক পাঠানো হয়েছে। যে করেই হউক অবৈধ দখল উচ্ছেদ করে রেকর্ডিও খাল রক্ষা করা হবে।