• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
চবিতে উদ্ধারকৃত বেগুন বোমার আসল রহস্য

চবির আইন অনুষদের পাশে বোমা সদৃশ এই বস্তুটি মূলত একটি বেগুন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

চবিতে উদ্ধারকৃত বেগুন বোমার আসল রহস্য

  • জুবাইর উদ্দিন, (চবি)
  • প্রকাশিত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ইউএসএইড এবং চবি আইন অনুষদের কোলাবোরেশনে গত জানুয়ারীর ২৬ আয়োজিত মক ট্রায়াল (ছায়া/প্রতিকী বিচার) কম্পিটিশনের এক ট্রায়ালে আসামী আদালতের সামনে কিভাবে বোমা বানানো হয়েছিলো, বেগুন স্কচটেপ আর দুইটা তার দিয়ে সেটার ডেমো দেখিয়েছিলো। সেই ফেইক ডেমো বোমা, যা কিনা শুধুমাত্র অবহেলার ফলে যেভাবেই হোক ফ্যাকাল্টির সামনে চলে আসে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তাসমিয়া ইকরা নামের একজন জানান, প্রসিকিশনের আলামত হিসেবে এটা সো করা হয়েছিল। তবে সেটা ডাস্টবিনে ফেলে দেয়া হয়েছিল। আর এটা তো নকল একটা গ্রেনেড বানানো হয়েছিল।
এটা স্টেটমেন্ট কেনো দেয়া হলো না জানতে চাইলে বলেন, আমরা জানতাম না এটাকেই বোমা হিসেবে মনে করা হয়েছে। আমি ফেইসবুক পোস্ট পড়ে বিষয়টি জেনেছি।

বিষয়টি নিয়ে জানতে আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এবি এম আবু নোমান জানান, বিভিন্ন কিছুর বাস্তব জ্ঞান দিতে এগুলো ব্যবহার করা হয়।ঘটনাটি আমরা যখন জানতে পারি তখন আমাদের মাথায় আসেনি।
সারাদেশে এটা নিয়ে আলোড়ন তৈরি হলেও এটা নিয়ে সফলতা পেয়েছেন বলে মনে করেন তিনি। এতে মক ট্রায়ালের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে।

তবে বিষয়টি নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন সাধারণ স্টুডেন্টরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় এমন অবান্তর ঘটনা খুবই দু:খজনক।

গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই গণমাধ্যমে খবর আসতে থাকে চবির আইন অনুষদের পশ্চিম পাশে দেখা গেছে বোমা সদৃশ একটি বস্তুর। কালো টেপে মোড়ানো চ্যাপ্টাকৃতির বস্তুটি দেখতে অনেকটা বোমার মতো। আর এতেই ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। ঘিরে রাখা হয় আশপাশ। ব্যস্ততা বেড়ে যায় পুলিশের।

এটি বোমা কি না নিশ্চিত হতে এবং যদি বোমা হয় তাহলে তা নস্ট করতে ডাক পড়ে সিএমপির বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের। শুক্রবার সকাল ১০টায় চৌকস এ দলের সদস্যরা মূল ঘটনাস্থলে হাজির হন। আধুনিক বোমা নিষ্ক্রিয়করণ যন্ত্রপাতির সহায়তা নিয়েই কাজে নেমে পড়েন তারা। চারপাশ পর্যবেক্ষণের পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দূর থেকে এটিকে ফাটিয়ে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু না। শেষমেশ দেখা গেল কালো ট্যাপে মোড়ানো একটি বেগুন! এর দুই পাশে লাল কালো ইলেট্রিক তার ছিল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads