• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
ইবিতে ইনডোর গেমসে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

ইবিতে ইনডোর গেমসে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি

  • ইবি প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আন্তঃবিভাগ ইনডোর গেমস চলাকালীন সময়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার বেলা ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেলা এগাটার দিকে আন্তঃবিভাগীয় ইনডোর গেমসের ব্যাডমিন্টনের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং এবং ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইসিই) বিভাগ অংশ নেয়।

খেলা শুরুর পর থেকেই উভয় বিভাগের শিক্ষাথীরা একে অপরকে স্লেজিং করতে থাকে। এ সময় মাঠে আইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী এবং ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষকরা দক্ষিণ পাশে অবস্থান করে এবং ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা উত্তর দিকে অবস্থান করে। যার ফলে আইসিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের চিৎকার চেচাঁমেচির শিকার হয় ফিন্যান্সের শিক্ষকরা। এ সময় ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বখতিয়ার হাসান আইসিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জসিম উদ্দিনকে ডেকে শিক্ষার্থীদের থামাতে বলেন। তিনি নিজেদের শিক্ষার্থীদের চুপ করতে বললেও শিক্ষার্থীরা থামেনি। ক্রমাগত স্লেজিং চলতে থাকে। এদিকে আইসিই বিভাগের ৩য় বর্ষের রেজা ফিন্যান্স বিভাগের ৪র্থ বর্ষের হাসিবুল হাসান প্যারিসকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করে। এসময় কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের পাশে থাকা উভয় বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

পরবর্তীতে উভয় বিভাগের শিক্ষক ও শারিরীক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সহায়তায় পরিস্থিতি শান্ত হয়। পাশাপাশি ফাইনাল খেলাটি স্থগিত করে শারিরিক শিক্ষা বিভাগ।

ফিন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বখতিয়ার হাসান বলেন, ‘আইসিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাদের কাছে এসে উচ্চস্বরে চেচাঁতে থাকে। বিষয়টি আমি আইসিই বিভাগের শিক্ষক মহোদয়দের কাছে জানালেও তারা কর্ণপাত করেন নি। যার ফলে শিক্ষার্থীরা উত্তেজনাবশত এ অবস্থা তৈরি করে।’

এ বিষয়ে ইনফরমেশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জসিম উদ্দীন বলেন, ‘খেলা চলাকালীন সময়ে উত্তেজনাবশত চিৎকার চেচাঁমেচি হয়েই থাকে। এ বিষয়ে ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষকরা জানালে আমরা শিক্ষার্থীদের থামানোর চেষ্টা করি। তারপরও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পরবর্তীতে সকলে মিলে পরিস্থিতি শান্ত করেছি।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads