• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
‘মানুষ আমাদের ঘৃণার চোখে দেখে’

ইয়াবা

সংরক্ষিত ছবি

সারা দেশ

‘মানুষ আমাদের ঘৃণার চোখে দেখে’

  • কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ইয়াবা কারবারিদের অর্থ  ও প্রভাব দুটোই আছে। কিন্তু সমাজে তাদের সম্মান নেই। সবাই তাদের ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখে। এ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধরপাকড়ের ভয় তো আছেই। এই ভয়ে আত্মগোপনে থাকতে হয় তাদের। ফলে পরিবার পরিজনদেরও সময় দিতে পারেন না তারা। পরিবারের লোকজনও সমাজের নিজেদের পরিচয় দিতে পারেন না।  গতকাল শনিবার টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৈরি করা মঞ্চে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আত্মসমর্পণের পর এভাবে নিজের অভিব্যক্তি ব্যক্ত করেন তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. সিরাজ।

তিনি বলেন, ইয়াবার কারণে সারা দেশে টেকনাফ ও কক্সবাজারের বদনাম ছড়িয়ে পড়ছে। দেশের মানুষের কাছে এমনকি কক্সবাজারের মানুষের কাছে নিজেদের টেকনাফের মানুষ পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে। সবাই আমাদের ঘৃণার চোখে দেখে। টেকনাফের লোক শুনলে কক্সবাজার ও ঢাকা শহরে বাসা ভাড়াও দেয় না। ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তিসহ ভালো পরিবেশে মানুষ করতে কষ্ট হচ্ছে।

ভুল বুঝতে পেরে নিজে ইয়াবা ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে মো. সিরাজ বলেন, আমি চাই ইয়াবা ব্যবসা বন্ধ হোক। আপনারা যারা ইয়াবা ব্যবসা করেছেন তাদের কাছে আমাদের অনুরোধ, সবাই আমাদের ঘৃণার চোখে দেখে, ইয়াবা ব্যবসা ছেড়ে দিন। সরকারের কাছে মো. সিরাজ অনুরোধ রেখে বলেন, আমরা যারা আত্মসমর্পণ করেছি সরকার যেন আমাদের ক্ষমা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়।

গতকাল সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) ড. মো. জাবেদ পাটোয়ারীর হাত থেকে ফুল নিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ১০২ মাদক কারবারি।  তাদের মধ্যে ৩০ গডফাদার ও ৭২ জন ইয়াবা কারবারি রয়েছেন।  যাদের অনেকেই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের শীর্ষ ৭৩ জনের তালিকায়ও রয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads