• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
নোয়াপুর শহীদ স্মৃতি মিলনায়তন ও গণপাঠাগার আছে, পাঠক নেই!

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া ইউনিয়নের নোয়াপুর শহীদ স্মৃতি মিলনায়তন ও গণপাঠাগারের ছবি

ছবি : বাংলাদশের খবর

সারা দেশ

নোয়াপুর শহীদ স্মৃতি মিলনায়তন ও গণপাঠাগার আছে, পাঠক নেই!

  • মো. এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
  • প্রকাশিত ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া ইউনিয়নের নোয়াপুর শহীদ স্মৃতি মিলনায়তন ও বিশাল আকার পাঠাগার থাকলেও উল্লেখযোগ্য পাঠক নেই। একজন দিয়ে চলছে পাঠাগারের সকল কার্যক্রম। এনিয়ে সচেতন মহলের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই পাক বাহিনী নির্মমভাবে উপজেলার নোয়াপুর গ্রামের ৩ শিক্ষকসহ ৬ জনকে গুলি করে হত্যা করেছিল। তারা হলেন- স্কুল শিক্ষক আবদুল খালেক(দৈয়া মিয়া মাষ্টার), সফিকুর রহমান, গোলাম রহমান, আমিনুর রহমান, নুরুল আলম ও মমতাজ উদ্দিন(লাতু মিয়া)। এরা সকলেই বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইকবালের নিকট আত্মীয়। তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে ২০০৭ সালের ১৭ নভেম্বর কুমিল্লা জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এ পাঠাগার ও মিলনায়তনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন আনোয়ারুল ইকবাল নিজেই। পরে ২০০৮ সালের ২০ জুন জমকালো অনুষ্ঠানে মাধ্যমে আনোরুল ইকবাল ও সাবেক সেনা প্রধান মেজর জেনারেল(অব.) কে এম শফি উল্লাহ পাঠাগারটি উদ্বোধন করেন। ওই সময় পাঠাগারটি দেখাশুনার জন্য একই ইউনিয়নের কৈতরা গ্রামের বাদল নামের এক ব্যক্তিকে পিয়ন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১০ সালের জানুয়ারী মাসে পিয়ন বাদলকে কুমিল্লা জেলা পরিষদে বদলী করা হয়। ফলে গার্ড নিয়োগ পান খলিলুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। কয়েক বছর আগে তিনি মারা যাওয়ায় তার ছেলে হাফেজ মোঃ ইউসুফ একাই পাঠাগারের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, পাঠাগারে ৫টি আলমারীতে মোট ১১০০টি বই রয়েছে। এগুলো মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ, ইসলামী, গল্প, উপন্যাস ও নাটকের বই উল্লেখযোগ্য। তবে পাক বাহিনীর হাতে নিহত যাদের নামে স্মরণে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করা হয় তাদের জীবনী সংক্রান্ত কোন বই সেখানে নেই। অর্ধশতাধিক আসন বিশিষ্ট বিশাল এ পাঠাগারের প্রতিদিন গড়ে ৫-৭ জনের বেশী পাঠক যায় না।

এদিকে পাঠাগার গিয়ে দায়িত্বে থাকা ইউসুফ ছাড়া কোন পাঠকের দেখা পাওয়া যায়নি। সুন্দরভাবে সাজানো পাঠাগারটি যেন পাঠকের জন্য হাহাকার করছে।

সচেতন মহল জানায়, অজোপাড়া গাঁয়ে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা না করে উপজেলা সদরের কোন একটি স্থানে নির্মাণ করলে সমগ্র উপজেলার সচেতন পাঠকরা ভীড় জমাতো। কিন্তু তা না করে সাবেক উপদেষ্টা ও তার আত্মীয়দের পছন্দ অনুসারে পাঠাগারটি নোয়াপুরেই স্থাপন করা হয়।

বর্তমানে পাঠাগারের দায়িদ্বে থাকা হাফেজ মোঃ ইউসুফ জানান, আগের তুলনায় এখন পাঠক বেশি আসে। যুবকরা গল্পের বই আর মুরব্বিরা পত্রিকা পড়তে আসে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads