• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
হাজীগঞ্জের নিখোঁজ হাজী ইসমাইলকে ঢাকা মেডিকেলে খুঁজে বেড়াচ্ছেন স্বজনরা

চকবাজারের চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ চাঁদপুর হাজীগঞ্জের হাজী ইসমাইল

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

চুড়িহাট্টা ট্র্যাজেডি

হাজীগঞ্জের নিখোঁজ হাজী ইসমাইলকে ঢামেকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন স্বজনরা

ছিদ্দিকের মৃত্যুদেহ দাফন সম্পন্ন

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের মোহাম্মদপুরের ছিদ্দিকের লাশ গ্রামের বাড়ীতে দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের গ্রামের বাড়ীতে তার লাশ এসে পৌঁছায়।

অপরদিকে নিখোঁজ হাজীগঞ্জের আহম্মদপুর গ্রামের হাজী ইসমাইলকে (৬৫) খুঁজে পায়নি তার পরিবার। হাজী ইসমাইলের পায়ের দুটি আঙুল জোড়া লাগানো ছিল। ঢাকা মেডিকেলে তাকে খুঁজছে স্বজনরা।

ঢাকায় বসবাসরত ওই গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস হরাজি জানান, গত দুদিন থেকে হাজী ইসমাইলের স্ত্রী রোকেয়া বেগমসহ তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঢাকার হাসপাতালের মর্গে লাশ শনাক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

কিন্তু কোনোভাবেই তার খোঁজ মেলেনি তার। হাজী ইসমাইলের পায়ের দুটি আঙুল জোড়া লাগানো ছিল। কিন্তু সেটি শনাক্ত করতে পারলেও নিশ্চিত করা যায়নি হাজী ইসমাইলের লাশ। এখন ডিএনএ পরীক্ষার অপেক্ষায় স্বজনরা।

নিহতের গ্রামের বাড়ি আহম্মদপুর ছয়আনি বাড়িতে গিয়ে এই প্রতিনিধির কথা হয় তার চাচা আবুল হাসানের সঙ্গে।

তিনি জানান, হাজী ইসমাইল হাজীগঞ্জ উপজেলার আহম্মদপুর গ্রামের মৃত হাজী ইসকারের ছেলে। তিন ভাই চার বোনের মধ্যে তিনি বড়। গরিব পরিবারের সন্তান হাজী ইসমাইল পাকিস্তান আমলে এসএসসি পাস করে পালিয়ে যান ঢাকায়।

সেখানে গিয়ে ঢাকার বকশীবাজারের বুলবুল হাজী নামের এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিচিত হয়ে ওই দোকানে চাকরি শুরু করেন। সে থেকে দিনে দিনে তিনি হয়ে পড়েন দুটি ফ্যাক্টরির মালিক। চকবাজারেও তার একটি প্লাস্টিকের দোকান ছিল।

ঘটনার দিন ওই প্রতিষ্ঠানেই তিনি বসেছিলেন। তার পরই শেষ হয়ে যায় সব কিছু।

জীবদ্দশায় সাত বার হজ পালন করেছেন তিনি। এ এলাকায় তিনি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে দানশীল হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বর্তমানে স্ত্রীসহ এক ছেলে দুই মেয়ে রয়েছে তার।

অন্যদিকে একই উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের নিহত আবু বকর সিদ্দিকের লাশ দাফন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় তার মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছে।

অবিবাহিত ২৭ বছরের যুবক সিদ্দিকের লাশ বাড়ির উঠানে নামাতেই স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। অবশেষে রাত ১২টায় পারিবারিক গোরস্তানে তাকে দাফন করা হয়।

জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমানের নির্দেশে হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী শুক্রবার দুপরে নিহত ছিদ্দিকের পরিবারকে আর্থিক অনুদান ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads