ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়ার শর্টগান গুলিসহ জব্দ করেছে পুলিশ। ঢাকা মহানগরী যুবলীগের এই নেতা আনারস প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত রোববার রাতে উপজেলার চরমুঘুয়া গ্রামের বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি জব্দ করে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে একদল পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে গিয়ে নিজের নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়া দেহরক্ষীসহ শর্টগান ব্যবহার করেন। এই নিয়ে গত শনিবার উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সর্দারপাড়ায় গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এতে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম রোমানের নির্বাচনী সমন্বয়কারী আকবর হোসেন মনির নির্বাচন কমিশনের রির্টানিং কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ অবস্থায় নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ ও জনমনে ভীতি সৃষ্টির অভিযোগ এনে চেয়ারম্যান প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়ার আগ্নেয়াস্ত্রটি ৪৩ রাউন্ড গুলিসহ জব্দ করে পুলিশ।
সূত্র জানায়, দুই দফা চেষ্টা চালিয়ে তোফায়েল আহমেদ ভূঁইয়ার কাছ থেকে অস্ত্রটি জব্দ করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। পরে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ চৌধুরী একদল পুলিশ নিয়ে ওই প্রার্থীর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রটি গুলিসহ জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন তিনি।
এই বিষয় চাঁদপুরের পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির বলেন, নির্বাচনকালীন সময় প্রকাশ্যে কোনো প্রার্থী বা ব্যক্তি অস্ত্র বহন এমনকি প্রদর্শন করতে পারেন না। এই ক্ষেত্রে কেউ যদি নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হন, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সহযোগিতা চাইতে পারেন।
প্রসঙ্গত, আগামী ২৪ মার্চ চাঁদপুরের ৭টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। এরমধ্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আরো ৬জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
