• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
মনোহরদীতে নির্বাচনে উৎসবের আমেজ

মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রর্থীরা

ছবি : সংগৃহীত

সারা দেশ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মনোহরদীতে নির্বাচনে উৎসবের আমেজ

জনপ্রিয়তাই জয়ে ভূমিকা রাখবে

  • সুজন বর্মণ, নরসিংদী
  • প্রকাশিত ২৩ মার্চ ২০১৯

শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের কল্যাণে ভিআইপি উপজেলা হিসেবে খ্যাতি পাওয়া নরসিংদীর মনোহরদীতে বিএনপি বিহীন উপজেলা নির্বাচনে উত্তাপ ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা। নির্বাচনের আগ মুহুর্তে উপজেলার সর্বত্র প্রচার-প্রচারণায় আবাস দিচ্ছে প্রতিদ্বন্ধীতাপূর্ণ নির্বাচনের। এতে করে কদর বেড়েছে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের।

আগামী ২৪ তারিখে তৃতীয় ধাপের মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হবে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এমনটাই প্রত্যাশা বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ভোটারদের।
১২টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত মনোহরদী উপজেলা। এখানে মোট ভোটার রয়েছেন দুই লাখ ৩০ হাজার ছয়শ ৭৪জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯৭ হাজার চার ৩২জন আর মহিলা ভোটার সংখ্যা এক লাখ ৫৬ হাজার ৪২জন। উপজেলা নির্বাচনে ৯৬টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে।

এবারের নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ একই ঘরানার কোনো ব্যক্তি দলীয়ভাবে নির্বাচনে না আসলেও মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের তিনজন ও ইসলামী ঐক্যজোটের একজন প্রার্থী নির্বাচন করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও মহিলা পদে দুইজন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খাঁন বীরু দলীয় মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। আর বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান রঙ্গু টেলিফোন প্রতীকে ও বড়চাপা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য নাজমুল হক আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন। একই পদে ইসলামী ঐক্যজোটের রফিকুল ইসলাম মিনার প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক নয় জনপ্রিয়তা ও আঞ্চলিকতা ভূমিকা রাখবে জয়ে। ফলে দলীয় প্রতীক নৌকা পেয়েও চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে ৪ বারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরু। সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বর্তমান শিল্পমন্ত্রীর বিরুদ্ধে পরিবর্তনের ডাক দিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। ফলে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর শিল্পমন্ত্রীর সমর্থনে মত নির্বিশেষে শীর্ষ নেতারা মাঠে নামলেও বিমুখ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী মাঠে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের অভিযোগ, নির্বাচিত হওয়ার পরই লাপাত্তা হন তিনি। ফলে দলের একটি অংশের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনের মাঠে সুবিধাজনক অবস্থানে চলে এসেছে দীর্ঘদিন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা হাবিবুর রহমান রঙ্গু। অপরদিকে উপজেলার উত্তরাঞ্চলের প্রার্থী হয়ে ৪টি ইউনিয়নের ভোটারদের সমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন আরেক আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রাথী নাজমুল হক। একই সঙ্গে নাজমুলকে দল নির্বাচনের মাঠে না থাকায় গোপনে বিএনপির শীর্ষ নেতারা সমর্থন দিচ্ছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। ফলে ত্রিমুখী লড়াইয়ে জমে উঠেছে মনোহরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।

চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান রঙ্গু বলেন, আমি উপজেলাকে দুর্নীতি, চাঁদাবাজ, মাদকমুক্ত এবং শিক্ষার হার শতভাগ করে সুন্দরভাবে রাঙাতে চাই। আশাকরি মনোহরদীবাসী আমাকে নির্বাচনে টেলিফোন প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে সেই সুযোগ দিবে।

আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম খাঁন বীরু বলেন, আমি দীর্ঘদিন সততার সাথে চেয়ারম্যান হিসেবে সুখে-দুঃখে মনোহরদীবাসীর পাশে থেকে সেবা প্রদান করছি। আমার বিশ্বাস, তারই ধারাবাহিকতায় আবারও জনগণ আমাকে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads