নোয়াখালীতে ৩য় শ্রেনীর এক স্কুলছাত্রী (৯) ধর্ষনের শিকার হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে সেনবাগ উপজেলার ১ নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ধর্ষক রাজনের বাড়ি উপজেলার বসন্তপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের আশ্রাফ আলী ব্যাপারী বাড়ির মোঃ সফি উল্লাহ ছেলে।
পত্যক্ষদর্শী জানান, ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি যাবার পথে একই এলাকার সিএনজি চালক রাজন তাকে একা পেয়ে বাজার থেকে ৫শ গজ দক্ষিণে নুর নবীর গ্যারেজে শিশুটিকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত করে। এসময় ওই স্কুল ছাত্রী চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে ধর্ষনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত বখাটে মোঃ রাজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এসময় ধর্ষকের পুলিশে সোপার্দ করার জন্য থানায় নিয়ে আসার পথে ধর্ষক রাজনের আত্বীয় মিজান ও আলমগীরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী রাস্তা অবরোধ করে এলাকাবাসীর ওপর হামলা করে ধর্ষক রাজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে শনিবার রাতে সেনবাগ থানার এস.আই. গৌর সাহার নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স গাবতলী বাজার নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক রাজনকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
খবর পেয়ে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) সেনবাগে এসে ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন, এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেন।
এলাকাবাসী রক্তাক্ত ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সএ ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। ওই স্কুলছাত্রী বসন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী।
সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ধর্ষককে গ্রেফতার ধর্ষিতার ও ধর্ষীতা স্কুল ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও চিকিৎসার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ধর্ষককে ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
