• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
স্বামীর ছোড়া গরম পানিতে ঝলসে গেল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী

স্বামীর ঢেলে দেওয়া গরম পানিতে ঝলসে গেছে অন্তঃসত্তা লতা আজারের শরীর

ছবি : পিবিএ

সারা দেশ

নারীর প্রতি সহিংসতা বাড়ছেই

স্বামীর ছোড়া গরম পানিতে ঝলসে গেল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী

  • মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ এপ্রিল ২০১৯

নারীর প্রতি সহিংসতা থামছেই না। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও হয়রানি, নির্যাতন কিংবা ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন নারীরা। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় ফেনীর এক মাদরাসাছাত্রীর গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা সারা দেশে যখন আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে তখনই মানিকগঞ্জে ঘটল আরেক নারকীয় ঘটনা। সেখানে এক পাষণ্ড স্বামীর ছোড়া গরম পানিতে ঝলছে গেছেন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। গৃহবধূ লতা আক্তার (১৯) ঝলসানো শরীর নিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার সদর উপজেলা বেউথা গ্রামে। এই ঘটনায় লতার বাবা বিশা খাঁ বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তিনি জানান, এক বছর আগে বেউথা গ্রামের আবদুল বাতেনের ছেলে সুজন মিয়ার (২৩) সঙ্গে লতা আক্তারের বিয়ে হয়। পেশায় রাজমিস্ত্রি সুজন বিয়ের পর থেকে তার মেয়েকে বিভিন্ন অজুহাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। বর্তমানে তার মেয়ে সাড়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত রোববার দুপুরে সুজন মিয়া গোসল করার জন্য গরম পানি করতে বলে তার মেয়েকে। গরম পানি হওয়ার পর সুজন গোসলের জন্য তার মেয়েকে গামছা নিয়ে আসতে বলে। গামছা নিয়ে যাওয়ার পর সুজন গামছায় ময়লা আছে এমন অজুহাতে লতাকে মারধর করে। একপর্যায়ে গোসলের গরম পানি লতার শরীরে ঢেলে দেয়। এতে তার পিট ও দুই হাত ঝলসে যায়।

তিনি জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তিনি সন্ধ্যায় মেয়েকে সুজনদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সুজনের শাস্তির দাবিতে তিনি সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতর লতা আক্তার জানান, প্রায় সময় নানা অজুহাতে সুজন তাকে মারধর করে। রোববার তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরে গরম পানি ঢেলে দিয়েছে।

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) লুৎফর রহমান জানান, গরম পানিতে লতার শরীরের ৩০ ভাগ ঝলসে গেছে। বর্তমানে শঙ্কামুক্ত থাকলেও তাকে ৭২ ঘণ্টা অভজারভেশনে রাখা হয়েছে।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, শরীরে গরম পানি ঢেলে দেওয়ার অভিযোগে লতা আক্তারের বাবা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আসামি সুজন মিয়া পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads