• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
নুসরাত হত্যাকাণ্ডের মাষ্টারমাইন্ড অধ্যক্ষ সিরাজ

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

নুসরাত হত্যাকাণ্ডের মাষ্টারমাইন্ড অধ্যক্ষ সিরাজ

  • সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ এপ্রিল ২০১৯

সানাগাজীর আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে অগ্নিদগ্ধ করে হত্যার পর ঘটনাটি তদন্তে সোনাগাজী আসেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক ফয়েজুল হকের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি সোনাগাজী ইসলামামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন।

এসময় তিনি মাদ্রাসার ছাদ যেখানে রাফিকে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে সেখানে যান এবং পুরো মাদ্রাসা ঘুরে দেখেন। তিনি রাফির ঘনিষ্ট বান্ধবি নিশাত, ফুর্তি, পিয়ন মোস্তফা, পুলিশ কর্মকর্তা, কনস্টেবল, মাদ্রাসার শিক্ষকদের জবাবন্দি গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের জানান, নুসরাতকে অগ্নিদগ্ধ করার মূল মাষ্টার মাইন্ড অধ্যক্ষ, তার নির্দেশে তার দোসরেরা ঘটনাটি ঘটিয়েছে। ২৭ মার্চ নুসরাতকে শ্লীলতাহানীর ঘটনাটি যদি পুলিশ সঠিকভাবে মোকাবেলা করে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতো, নজরদারী বাড়াতো তবে ৬ এপ্রিল নুসরাতকে অগ্নিদগ্ধ করার ঘটনাটি এড়ানো যেতো। এত নিরাপত্তার মধ্যে বোরকাপড়া চারজন কিভাবে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে নুসরাতের শরীরে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যেতে পারে সেটি অবশ্যই তদন্ত বের করতে হবে। সঠিকভাবে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিচারের ব্যাবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে। আমাদের তদন্তের ফলাফল সরকারের উচ্চ পর্যায়ে জমা দেওয়া হবে।

শুক্রবার সকালে অধ্যক্ষ সিরাজের ফাঁসি চেয়ে পৌরসভার জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন করে সোনাগাজী উপজেলা ছাত্রলীগ। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল মোতালেব রবিন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মীর এমরানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের সকল ইউনিটের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে অংশগ্রহন করে। বক্তব্যে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ যথাযথ বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অধ্যক্ষ সিরাজের ফাঁসি দাবী করেন।

এদিকে নুসরাতকে দাফনের একদিন পরেও পরিবার ও এলাকাবাসীর মাঝে শোকের ছায়া বিরাজ করছে। জুমার নামাজের পর ওই এলাকার সকল মসজিদে নুসরাতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। জুমার নামাজ শেষে পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী নুসরাতের কবরের পাশে গিয়ে দোয়াদরুদ পড়ে মোনাজাত করেন। এসময় নুসরাতের পিতা ও ভাই কান্নায় ভেঙ্গে পড়ার একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। বাড়ীতে গিয়ে দেখা যায় নুসরাতের মা ঘরের বসে বিলাপ করছে, যাকে দেখছে তাকে জড়িয়ে ধরে নুসরাতকে ফিরিয়ে আনার করুন মিনতি করছে।

এদিকে মামলার অন্যতম এজহারনামীয় আসামী শিবির নেতা নুর উদ্দিনকে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলা থেকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। ময়মনসিংহ জেলা পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু বক্কর ছিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নুর উদ্দিন অধ্যক্ষ সিরাজের অন্যতম সহযোগী, ধারনা করা হচ্ছে অধ্যক্ষের নির্দেশে নুর উদ্দিন রাফির শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে অগ্নিসংযোগ করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads