• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪২৯
বিয়ে না করায় ইমামকে পেটাল তিন বোন

চাঁদপুর ম্যাপ

সারা দেশ

বিয়ে না করায় ইমামকে পেটাল তিন বোন

  • চাঁদপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ এপ্রিল ২০১৯

বিয়ে না করায় চাঁদপুরে মসজিদে ঢুকে ইমামকে পিটিয়েছে তিন বোন। ওই ইমামের সঙ্গে তাদের এক বোনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে। ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রকিব বলেন, প্রেম করার পর বিয়েতে রাজি না হওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে।

গত বুধবার ফরিদগঞ্জের রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের পুটির বাজার এলাকার একটি মসজিদে ফজরের নামাজ শেষে মোনাজাতের সময় তিন বোন মিলে ইমামকে পেটায়। ওই তরুণীদের বাবার দাবি, তার এক মেয়েকে ইমাম উত্ত্যক্ত করায় তিন মেয়ে তাকে পিটিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি, তিন বোনের একজনের সঙ্গে ইমামের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তিনি বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় তিন বোন ইমামকে পিটিয়ে আহত করেছে।

তরুণীদের বাবার অভিযোগ, ইমাম অনেক দিন ধরে এলাকার কিছু বখাটে ছেলেদের নিয়ে তার এক মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। এ নিয়ে তিনি মসজিদ কমিটির সভাপতির কাছে নালিশও করেন। কিন্তু কোনো ফল পাননি। তার মেয়েরা উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করতে যান। সে সময় তার মেয়েদের ইমাম মারধর করেন। বর্তমানে তার এক মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার ভোরে ফজরের নামাজের পর মোনাজাত চলছিল। এ সময় বোরকা পরা তিন বোন মসজিদে ঢুকে ইমামের চোখেমুখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। পরে লোহার পাইপ দিয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে মুসল্লিরা তাদের ধরে ফেলেন। পরে মসজিদ কমিটির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে তরুণীদের ছেড়ে দেন। ওই ইমামকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

 

জানতে চাইলে ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি বলেন, ওই ইমাম এক মেয়েকে বহুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছেন বলে তার বাবা অভিযোগ করেছেন। এরপর ইমামকে মসজিদ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয়। ইমাম চলেও যান। কিছুদিন পর মসজিদের কিছু লোক তাকে আবার নিয়ে আসেন।

রূপসা দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান ইসকান্দার আলী বলেন, মেয়েপক্ষ থেকে আমরা জেনেছি, ইমামের সঙ্গে তিন বোনের একজনের প্রেমের সম্পর্ক আছে। মেয়ে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছে। কিন্তু ইমাম রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বোরকা পরে মসজিদে ঢুকে প্রথমে মরিচের গুঁড়া দেয়। পরে পাইপ দিয়ে আঘাত করে। এ সময় উপস্থিত মুসল্লিরা দুই বোনকে ধরে ফেলে, আরেকজন চলে যায়। মেয়ের বাবা ওই মসজিদের সহসভাপতি। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত হলে আমরা বিষয়টি নিয়ে বসব। সমাধানের চেষ্টা করব।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য চেষ্টা করেও ওই ইমামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রকিব বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি, ওই ইমামের বাড়ি হাইমচর। ইমাম ওই মেয়ের ভাইকে পড়ানোর সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক হড়ে ওঠে। এরপর মেয়েপক্ষ থেকে বিয়ের প্রস্তাবও আসে। কিন্তু বিয়েতে ইমাম রাজি হচ্ছিলেন না। এ নিয়ে ঘটনার দুদিন আগে স্থানীয়ভাবে বসারও কথা ছিল। বিষয়টি শুনে পুলিশ পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, হুজুরও মেয়েকে মারধর করেছেন। তারা দুজনই আহত হয়েছেন। এছাড়া মসজিদ কমিটি নিয়েও গ্রুপিং আছে। সে কারণে ঘটনাটিকে ভিন্ন রূপ দেওয়ার চেষ্টাও করছেন কেউ কেউ। এ ঘটনায় কেউ থানায় এলে মামলা নেব।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads