বাবার সঙ্গে প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা তুলতে গিয়ে গত সোমবার নেত্রকোনারর কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদ এলাকা থেকে কুলসুমা খাতুন (১৮) নামের একটি প্রতিবন্ধী মেয়ে হারিয়ে যায়।
এদিকে হারিয়ে যাওয়া প্রতিবন্ধী মেয়েকে হন্যে হয়ে খোঁজতে শুরু করেন উপজেলার সন্যাসীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও মেয়েটির বাবা আব্দুর রশিদ। তিনি কলমাকান্দা বাজার ও আশেপাশের এলাকায় ৩ ঘন্টার বেশি সময় তার মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু খুঁজে পাননি।
একপর্যায়ে মেয়েটির বাবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জাকির হোসেনের দ্বারস্থ হন এবং মেয়েকে হারিয়ে ফেলার বিষয়টি বিস্তারিত ইউএনওকে অবহিত করেন। এ সময় প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে খোঁজে দিতে ইউএনও'র সহযোগিতা কামনা করেন মেয়েটির বাবা।
ইউএনও জাকির হোসেন তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে একজন মাইক অপারেটর দিয়ে উপজেলা সদর এলাকায় মাইকিং করানোর ব্যবস্থা করেন। মাইকিংয়ের প্রেক্ষিতে উপজেলার উব্দাখালি নদীতে সাঁতার কাটা অবস্থায় মেয়েটিকে খুঁজে পাওয়া যায়।
পরে প্রতিবন্ধী ওই মেয়েটিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয় এবং হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে তার বাবা আব্দুর রশিদের হাতে তুলে দেন ইউএনও জাকির হোসেন।
মেয়েটির বাবা আব্দুর রশিদের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার অসহায় প্রতিবন্ধী মেয়েটি হারিয়ে যাওয়ার পর ইউএনও স্যারের কাছে যাওয়ার সাথে সাথে তিনি মাইকিং করিয়ে আমার মেয়েকে খোঁজে বের করে আমার কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আমার মতো গরীব মানুষের জন্য যে উপকারটুকু করেছেন, এজন্য আমি ইউএনও স্যারের জন্য প্রাণভরে দোয়া করি। তিনি যেন আরো বড় হন।
এ বিষয়ে ইউএনও জাকির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ধন্যবাদ সৃষ্টিকর্তাকে। একজন বাবার হাতে তার হারিয়ে যাওয়া প্রতিবন্ধী মেয়েকে তুলে দিতে পেরেছি।