• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
শিশু মন্দিরা আর মা কবিতার পাশে এসপি শামসুন্নাহার

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

শিশু মন্দিরা আর মা কবিতার পাশে এসপি শামসুন্নাহার

  • রেজাউল করিম সোহাগ, শ্রীপুর
  • প্রকাশিত ১৮ এপ্রিল ২০১৯

এসপি শামসুন্নাহার এখন গাজীপুরের প্রত্যেকটা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগঞ্জ মহল্লার অলি গলির ছোট্ট ছোট্ট চা স্টলের মানুষের আড্ডার গল্প। কিশোর ,যুবক থেকে প্রায় শত বছরের বৃদ্ধও নামে চিনে শামসুন্নাহারকে। অনেকের কাছে এক আদর্শের প্রতিক এ পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। অল্প দিনেই গাজীপুরের সকল অনিয়মের চিত্র আর অপরাধের দৈত্যকে বাক্সবন্দি করেছে। মানুষের ঘরে গিয়ে সমস্যার সমাধান, আইনের সহায়তা তার প্রতিদিনের রুটিন কাজ। খুব ছোট্ট সমস্যাকেও তিনি অধিক গুরুত্ব দিয়ে হাজির হন অসহায়, ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের উঠানে। ঘরের মেঝেতে বসেই সমাধানের সূত্র খোঁজে বের করেন। তেমনি এক দম্পত্তির সুখের সুন্দর সংসারে নিভে যাওয়া আলো আর পালিয়ে যাওয়া সুখকে ফিরিয়ে দিতেই ওই পরিবারে হাজির হন অতি সজ্জন মানবিক পুলিশের এই কর্মকর্তা। তাই জেলার সব স্থানেই সবাই তাঁকে চিনে মানবতার অনন্যা হিসাবে। আজ বিকালেই গাজীপুরের শ্রীপুরে তিনি কবিতা রানী আর বিশ্বজিৎ বণিকের পারিবারিক জটিলতা নিরসনে তাঁদের বাসায় আসেন। শুনের তাদের বিভিন্ন সময়ে সুবিধা অসুবিধার গল্প।

প্রতিবেশীরা ও স্বজনরা জানান, তাঁরা দাদা,ঠাকুমা, মাসি,পিসি,কাকুসহ সবাইকে নিয়েই যৌথ পরিবারে বসবাস করতেন। কিন্তু কিছু দিন ধরেই পারিবারিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয় তাঁদের পরিবারে। এ দ্বন্দ্ব চরমে উঠে। উঠানের সামনে ওঠে যায় দেয়াল। কেউ কারো মুখ যেন না দেখতে পারে সেজন্য উঠানে টিনের বেড়া দেওয়া হয়। এর জের ধরে কবিতার সংসারে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। স্বামীর সাথে চলে দুরত্বের সম্পর্ক। অসহায় হয়ে পড়েন কবিতা। অসহায় কবিতার এমন পারিবারিক বৈরি অবস্থার অবসান ঘটাতে এগিয়ে আসলেন গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম বার। এমন একটি বিষয়কে তিনি এতো গুরুত্ব দিয়ে ছুটে এসেছেন যা আমাদেরকে পুলিশের প্রতি অনেক বেশি শ্রদ্ধা বাড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি এরি মধ্যে আলোচিত নানান কাজের জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এ জন্যই জেলার সবখানেই তাঁর প্রশংসা উড়ে বেড়ায়। সবার মুখে পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার এক অনন্য মানুষ।

কবিতা রানী জানান , সাত বছর আগে বিশ্বজিৎ বনিকের সাথে বিয়ে হয় তাঁর। মন্দিরা নামের একটি মেয়ে আছে। সংসার জীবনের কিছুদিন পর হতে স্বামীসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা প্রায় সময়ই তাঁর সাথে বিবাধে জড়িয়ে পড়ে। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনও চলত সময় অসময়ে। করে তারা। নিরুপায় হয়ে পুলিশের কাছেও গিয়েছি।

শ্রীপুর বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি রহুল আমীন খান রতন জানান, তাদের পারিবারিক বিষয়ে মিমাংসা করার জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে নিয়ে কয়েকবার বসা হয়েছে। সংসারে প্রয়োজনীয় বিষয়ের অভাবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া থাকত। এক সময় কবিতা খুবই অসহায় হয়ে পড়ে।

গাজীপুর পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার (পিপিএম বার) জানান, সামাজিক বন্ধন রক্ষার জন্য যৌথ পরিবারের (একান্নবর্তী) বিকল্প নেই। কবিতা রানীর বিষয়টি অবগত হয়ে তার নিষ্পাপ কন্যার দিকে গুরুত্ব দিয়ে পারিবারিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই পরিবারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে একসাথে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আশা করি কবিতা ও বিশ্বজিৎ তাদের নিষ্পাপ শিশু মন্দিরাকে নিয়ে পরিবারে সুখী হবে এমন প্রত্যাশাই করি। আসুন আমরা পারিবারিক বন্ধনের চর্চা করি, সবাই সুখী হই অল্প নিয়েই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads