• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ক্রিপ্টোকারেন্সি চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

ক্রিপ্টোকারেন্সি চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার

  • বগুড়া প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৬ এপ্রিল ২০১৯

অবৈধ লেনদেন ও মুদ্রা পাচার কর্মকান্ডে জড়িত বিট কয়েন ব্যবহারকারী ক্রিপ্টোকারেন্সি চক্রের ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে বগুড়া সাইবার পুলিশ। এসময় তাদের নিকট থেকে ২টি ল্যাপটপ, ১৬টি মোবাইল ও ২০টি সিমকার্ডসহ অবৈধ ভার্চুয়াল মুদ্রা বিটকয়েন লেনদেন কাজে ব্যবহৃত ২টি ওয়েবসাইট উদ্ধার করে সাইবার পুলিশ টিম। ওয়েবসাইটটিতে ইতোমধ্যে সাইবার পুলিশের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে।

পুলিশ বলছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি বা অবৈধ ভার্চুয়াল মুদ্রা কারবারীদের বিরুদ্ধে এটাই দেশে প্রথম দৃশ্যমান অভিযান। ক্রিপ্টোকারেন্সি গ্রেফতারকৃতরা হলো, হবিগঞ্জের মাধবপুর এলাকার আহসান হাবিব ওরফে শাহ মোঃ তানিম(২২), একই এলাকার সোহেল মিয়া ওরফে কাজী সোহেল(২৭) ও লক্ষীপুর জেলার রায়পুরের মারুফ হোসাইন ওরফে মারুফ বিল্লাহ (২৫)। গ্রেফতারকৃতদের আরো জিজ্ঞাসাবদের জন্য আজ শুক্রবার ৮ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।

বগুড়া পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঞা শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টায় এক প্রেসব্রিফিং এ ক্রিপ্টোকারেন্সি চক্রের ৩ জনকে আটক ও এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন দেশে ভার্চুয়াল মুদ্রা বিটকয়েন অবৈধ হলেও অনলাইন ভিত্তিক এই অবৈধ লেনদেন বাড়ছে। মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে বগুড়া সাইবার পুলিশ এ বিষয়ে নজরদারী ও তদন্ত শুরু করে। ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসাবে বিটকয়েন ছাড়াও অনলাইনে আরো বিভিন্ন নামে এই অবৈধ লেনদেন হয়। ক্রিপ্টোগ্রাফি পদ্ধতি বা সাংকেতিক কোড ব্যবহার করে অনলাইনে এই অবৈধ ভার্চুয়াল মুদ্রা লেনদেন করা হয় জুয়া বা কালোটাকা সহ বিভিন্ন লেনদেনে। আইপিএল বা বিপএিল ভিত্তিক জুয়া খেলতে ভার্চুয়াল মুদ্রার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

পুলিশ আরো জানায়, গ্রাহক প্রথমে মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা পাঠায়। এর পর চক্রটি অনলাইন ওয়ালেটে ক্রিপ্টোকারেন্সি পাঠায়। বহু ক্ষেত্রে লোভের বসে ভার্চুয়াল মুদ্রায় অবৈধ লেনদেন করে প্রতারিত হচ্ছে লোকজন। ক্রিপ্টোকারেন্সি চক্র মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা নিয়ে তাদের গ্রাহকদের নিকট আর বিটকয়েন না পাঠিয়ে প্রতারণা করে। ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার ব্যাপক উত্থানের আশায় বেশি লাভের লোভে এ অবৈধ ব্যবসায় ঝোঁকার প্রবানতা বাড়ছে বলে পুলিশ জানায়। এক একটি বিট কয়েন ৫ থেকে ৮ হাজার ডলারে ওঠা নামা করে বলে পুলিশ সুপার জানান। বগুড়া সাইবার পুলিশের পরিদর্শক এমরান মাহমুদ তুহিনের নেতৃত্বে একটি টিম ২৩ ও ২৪ এপ্রিল হবিগঞ্জ ও লক্ষ্মিপুরে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে এই চক্রে ৬/৭ জন রয়েছে। দু’টি ওয়েব সাইটের মধ্যে তারা তারা অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো। ওয়েব সাইট পর্যবেক্ষন করে পুলিশ জানতে পেরেছে এর ইউজার সংখ্যা ৭ হাজার ৩৬২ জন। এর মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ২৭ হাজার ৮শ’ট??

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads