• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি নার্সদের

ছবি : সংগৃহীত

সারা দেশ

বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি নার্সদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ মে ২০১৯

বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএনএ) কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্সকে গণধর্ষণের পর হত্যায় জড়িতদের দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তি না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গতকাল শনিবার আয়োজিত মানববন্ধনে এ হুঁশিয়ারি দেন নার্সরা।

ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত স্টাফ নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়া হত্যার বিচারের দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিএনএর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নার্সরা।

মানববন্ধনে নার্স নেতারা বলেন, ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রেজিস্ট্রার শাহীনুর আক্তার তানিয়াকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে স্বর্ণলতা বাসে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আমরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে ইতিহাসের জঘন্যতম, নিকৃষ্ট, পৈশাচিক ও ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি। তারা বলেন, যদি এ ন্যক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানে কোনোরূপ কালক্ষেপণ হয় তবে বৃহত্তর আন্দোলনের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়শেনের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শাখা সভাপতি মো. কামাল হোসেন পাটোয়ারী, সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল শাখার সভাপতি জরিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা পারভীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মে রাতে ঢাকা থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন উপজেলার লোহাজুড়ি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে ও ঢাকার কল্যাণপুর এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের সিনিয়র নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়া। বাসটি কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে আসার পর বাসের অন্য যাত্রীরা নেমে যান। কটিয়াদী থেকে পিরিজপুর বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার পথে গজারিয়া বিলপাড় এলাকায় বাসের চালক ও সহকারীরা তানিয়ার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে তানিয়াকে হত্যা করে মরদেহ কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেখে পালিয়ে যায় তারা।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই চারজনের নামে বাজিতপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলায় বাসচালক ও হেলপারসহ পাঁচ আসামি বর্তমানে রিমান্ডে আছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads