• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
হস্তান্তরের আগেই কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড আশ্রয়ণ প্রকল্প

কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড আমতলা আশ্রয়ণ প্রকল্প

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

হস্তান্তরের আগেই কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড আশ্রয়ণ প্রকল্প

  • চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ মে ২০১৯

উপকারভোগীদের হাতে হস্তান্তরের আগেই কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের নব-নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের আবাসনের ব্যারাক গুলো। নিন্মমানের কাজকে দায়ি করলেন জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসী। অল্পের জন্য রক্ষা পেল ২টি পরিবার।

জানা গেছে, নদী ভাঙ্গনে জমাজমি, বাড়িঘর সর্বহারা অসহায় মানুষের জন্য বিভিন্ন এলাকার মতো উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতি ও আমতলা এলাকায় যথাক্রমে ১৬টি ও ২৩টি ব্যারাক বিশিষ্ট ২টি আশ্রয়ণ প্রকল্প তৈরি করে সরকার। কিন্তু তা উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তরের আগেই ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে দুমরে মুচরে উড়ে গেছে ব্যারাকের টিনের চাল।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা গেছে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৫১১.৭৫৩ মেঃ টন বরাদ্দে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের বাস্তবায়নে আমতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটির কাজ শেষ হলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের তত্ত্বাবধানে আমতলা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২৩ টি ব্যারাক নির্মিত হয়। নির্মাণ শেষে গত ডিসেম্বরে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার চিলমারীকে ১১৫টি পরিবারের পূনর্বাসিত করার লক্ষে আবাসনের ২৩টি ব্যারাক হস্তান্তর করেন। কিন্তু ব্যারাকের অধিনে ১১৫টি ঘর ১১৫টি পরিবারের মাঝে হস্তান্তরের আগেই শনিবার ও রবিবার রাতে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে পুরো আশ্রয়নের ব্যারাক গুলো লন্ডভন্ড হয়ে ডুমরে মুচরে যায় এবং বেশির ভাগ টিনের চাল গুলো উড়ে গেছে বলে জানান এলাকাবাসী।

প্রতক্ষ্যদর্শি হাসেনা বেগম জানান, শনিবার রাতে বাতাসে টিনের চাল উড়ে যেতে শুরু করে এবং একে একে প্রায় সব ব্যারাকের চাল উড়ে যায়।

এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রশিদ, গোলজার হোসেন, মেম্বার শহিদুলসহ অনেকে ব্যারাক নির্মাণ কাজ নিন্মমানের হয়েছে দাবি করে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী কাঠসহ অবকাঠামো তৈরি না হওয়ায় আজ সামান্য বাতাসেই ব্যারাকের ঘর গুলো লণ্ডভণ্ড হয়েছে।

ঘটনার সত্যত্বা স্বীকার করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ গওছল হক বলেন, ২৩টি ব্যারাকের মধ্যে ২১টি ব্যারাক লণ্ডভণ্ড হয়ে টিনের চাল গুলো বিভিন্ন স্থানে উড়ে গেছে এবং অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মোঃ শামসুজ্জোহা বলেন, সেনাবাহিনী বুঝে দেওয়ার পর আমরা ইউপি চেয়ারম্যানকে ব্যারাক গুলো বুঝে দিয়েছিলাম। তিনি আরো বলেন, ক্ষয়ক্ষতির কথা শুনেছি সরেজমিন দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads