• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
হাকিমপুরে বোরো ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

হাকিমপুরে বোরো ধান নিয়ে বিপাকে কৃষক

  • হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ মে ২০১৯

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও শ্রমিক সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছে কৃষক। মজুরি বেশী এবং ধানের দাম না পাওয়ায় হতাশায় পড়েছে এ উপজেলার কৃষকরা।

বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, এ উপজেলায় বোরো ধান কাঁটার ভরা মৌসুম চলছে। এ বছর শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরাও ধান  কাটা শুরু করেছে। বর্তমানে একজন শ্রমিকের দুই বেলা খাবারসহ দৈনিক মজুরি দিতে হচ্ছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। সেই সঙ্গে মাড়াইসহ প্রতিমণ ধানে খরচ পড়ছে সাড়ে ৬০০ থেকে সাড়ে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। অপরদিকে প্রতিমণ ধান প্রকারভেদে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৬২০ টাকা পর্যন্ত। এতে উৎপাদন খরচ বেশি পড়ছে। ধানের বাজার মূল্য কম থাকায় লোকসান গুণতে হচ্ছে কৃষকদের। এদিকে প্রান্তিক চাষীরা ‘মরার উপর খরার ঘা’ দাদন ব্যবসায়ী মহাজনদের দাদনের ধান ও সুদের টাকার চিন্তায় বিপর্যস্ত হয়ে পরেছেন।

বেশিরভাগ প্রান্তিক চাষি স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে মৌসুমের শুরুতে ১ হাজার টাকার লভ্যাংশে ১ মণ ধান ও নগদ ১ হাজার টাকা হারে দাদন নিয়ে বেশী ফলনের আশায় উচ্চমূল্যে বীজ কিনে বীজতলা তৈরিসহ চাষাবাদ করেছেন। সেচসহ কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে কৃষকদের গত বছরের চেয়ে এ বছর উৎপাদন খরচ বেশী গুণতে হয়েছে।

চাষীরা জানান, এবছর প্রতি মন ধানের উৎপাদন খরচ হয়েছে ৮০০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে বাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৬২০ টাকায়। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় দাদন ব্যবসায়ীদের টাকা ও ধান পরিশোধ করা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন।

উপজেলার বেশীরভাগ প্রান্তিক, ক্ষুদ্র ও বর্গা চাষীরা স্থানীয় দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা এনে পরিশোধ করার ব্যাপারে এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন। বর্তমানে গোয়ালের গরু, স্ত্রীর গহনা বিক্রি করেই মহাজনের দাদনের টাকা সুদসহ পরিশোধ করতে হবে বলে একাধিক কৃষকরা জানিয়েছেন।

আলীহাট ইউনিয়নের কৃষক আকরাম আলী, তমিজ উদ্দিন ও শহিদুল ইসলাম জানান, প্রতিমণ ধান আবাদে  ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা খরচ হয়েছে। আর বিক্রি করতে হচ্ছে ৪২০ থেকে সাড়ে ৬২০ টাকায়। এতে মণপ্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত লোকসান গুণতে হচ্ছে।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: শামিমা নাজনীন  জানান, এ বছর উপজেলায় ৭ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে  বোরো ধান আবাদ হয়েছে। ধানের দাম কম হবার কথা স্বীকার করে তিনি জানান এ ব্যাপারে আমাদের কোনো কিছু করার নেই।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads